ফ্রান্সে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড, বিধিনিষেধ পুনর্বহাল হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

ফ্রান্সে সম্প্রতি মহামারি করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৫৬১ জনের দেহে। এক সময় ইউরোপ প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও এর আগে দেশটিতে একদিনে দশ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়নি। উদ্বিগ্ন সরকার তাই বিধিনিষেধ পুনর্বহালের কথা ভাবছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে বলা হচ্ছে, ফ্রান্সে সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড ছিল গত বৃহস্পতিবার; ৯ হাজার ৮৪৩ জন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের নতুন ঊর্ধ্বগতি দেখে বিচলিত ফ্রান্সের সরকার দেশজুড়ে আবারও কঠোর বিধিনিষেধ দেয়ার পরিকল্পনা করছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় কী কী ব্যবস্থা নেয়া যায় তা ঠিক করতে শুক্রবার দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রী ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বৈঠক করেন। সরকারি পরামর্শক দেশটির সায়েন্টিফিক কাউন্সিলের প্রধান জ্যাঁ-ফ্রঁস ডেলফ্রেসি ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে শিগগিরই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।

সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির কারণে বছরের শুরুতে জারি লকডাউন বিধিনিষেধ আবারও বহাল করার লক্ষ্যে অতিরিক্ত ব্যবস্থাগুলোর রুপরেখা নিয়ে শুক্রবার আলোচনা করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্যাসটেক্স উচ্চ সংক্রমণ অঞ্চলগুলো পরীক্ষার বৃদ্ধি এবং কঠোর স্থানীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

করোনা নিয়ে ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া প্রাত্যহিক হালনাগাদ তথ্যে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত ৭৭২টি গুচ্ছ সংক্রমণ শনাক্ত করতে পেরেছে। এর মধ্যে ৮৬টি শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। গত সপ্তাহে দেশটির হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগী ছাড়া আইসিইউতে ভর্তির সংখ্যাও অনেকটা বেড়ে গেছে।

কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সপ্তম স্থানে থাকা ফ্রান্সে এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর দেশটিতে মোট প্রাণহানিও প্রায় ৩১ হাজার। সংক্রমণের তুলনায় অন্যান্য অনেক দেশের চেয়ে ফ্রান্সে করোনায় মৃত্যুহার অনেক বেশি।

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।