সাকার পক্ষে সাফাই সাক্ষীর আবেদন খারিজ


প্রকাশিত: ০৭:০৭ এএম, ০২ নভেম্বর ২০১৫

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেয়ার জন্য যে আবেদন করা হয়েছিল তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রিভিউ আবেদন শুনানি করার জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করার হয়েছে। সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে খন্দকার মাহবুব হোসন এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৯ অক্টোবর সাকার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য চারজন পাকিস্তানি এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকসহ আট জনের পক্ষে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদন গ্রহণ করেননি আদালত। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, আপিল বিভাগ তা খারিজ করেছেন এখন এই পর্যায়ে রিভিইতে তা  গ্রহণ করার সুযোগ নেই।

গত ১৯ অক্টোবর সোমবার দেশি-বিদেশি আটজনের নাম উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এক আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবী হুজ্জাতুল ইসলাম আল ফেসানী। তাদের মধ্যে চারজনই পাকিস্তানি নাগরিক রয়েছে বলে জানা গেছে। অপর তিনজনের একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। এছাড়াও বাংলাদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও  তার মা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার আবেদন জানানো হয়।

৪ পাকিস্তানিসহ বিদেশিরা হলেন- পাকিস্তানের স্থপতি মুনিব আরজুমান্দ খান, ডন গ্রুপের চেয়ারম্যান আমবর হারুন সায়গল, সাবেক মন্ত্রী ইসহাক খান খাকওয়ানি, প্রাক্তন তত্ত্বাধায়ক সরকারের প্রধান মোহাম্মদ মিয়া সুমরো। বাকি তিনজন হলেন- যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাবেক কূটনীতিক এম ওসমান সিদ্দিক, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শামীম হাসনাইন ও তার মা জিনাত আরা বেগম।

এর আগে গত ১৪ অক্টোবর সাকার আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করেন। রিভিউ আনেদন শুনানির জন্য আগামী ১৭ নভেম্বর দিন ঠিক করেছেন আপিল বিভাগ।

২০১৩ সালের ১ অক্টোবর ট্রাইবুনাল সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর সাকা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। তবে সেখানেও তার সর্বোচ্চ সাজার রায়ই বহাল থাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর মুজাহিদের সঙ্গে তারও মামলার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। এরপর দুজনের রায়েরই পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি একসঙ্গে আসে ট্রাইব্যুনালে। এরপর ১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল মৃত্যু পরোয়ানা জারি করলে তা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছে দেয়া হয়।

এফএইচ/জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।