জালালাবাদে সম্প্রসারিত কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু


প্রকাশিত: ০৩:৫২ পিএম, ০১ নভেম্বর ২০১৫

সিলেটের জালালাবাদে গ্যাসক্ষেত্রের সম্প্রসারিত একটি কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে শেভরন। রোববার বিকেলে জিবি-৬ নামক ওই কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনের উদ্বোধন করা হয়। এর ফলে জাতীয় গ্রিড লাইনে প্রতিদিন আরো ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংযুক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে শেভরন।

১৯৯৯ সালের সিলেট শহরতলির লাক্কারতুরা চা বাগান এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। বর্তমানে শেভরনের নিয়ন্ত্রণে থাকা এই ক্ষেত্রের তিনটি কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়।

শেভরন সূত্রে জানা যায়, গত বছর বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র সম্প্রসারণের আবেদন জানায় শেভরন। পেট্রোবাংলা থেকে প্রথমে এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হলেও গ্যাসের চাহিদা বিবেচনায় এটি শেভরনের প্রস্তাব অনুমোদন করে জ্বালানি বিভাগ। এরপর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে জালালাবাদ গ্যাস কূপের বর্ধিতাংশে তিনটি কূপ খনন কাজ শুরু করে শেভরন। প্রায় ১৩ কোটি ডলার ব্যয়ে এ প্রকল্পের কাজ শেষে রোববার একটি কূপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হলো।

রাত ৮টায় শেভরন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানান, গ্যাসের চাহিদা ও গ্যাস প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থেকেই জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্র বর্ধিত করে কূপ খনন করা হয়েছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা বাড়ার কারণেই জালালাবাদে নতুন তিনটি কূপ খনন করেছে শেভরন।

রোববার গ্যাস প্ল্যান্টের সুপারিন্টেনডেন্ট চৌধুরী হাফিজ রুমেল কেক কেটে গ্যাস সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শেভরনের কর্মকর্তা নভরাজ কান্ডোলা, সাহিদ সিদ্দিকি, নাজমুল কায়সার, জেমস কেনন, মতিউস সামাদ চৌধুরী, জুলফিকার আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সম্প্রসারিত গ্যাসের কূপ ড্রিলিংয়ের কাজ শুরু করে শেভরন। চলতি বছরের মে মাসে ড্রিলিং কাজ সম্পন্ন করে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর রোববার এর একটি কূপের গ্যাস উত্তোলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।