কিম কোমায়, ক্ষমতা যাচ্ছে বোনের হাতে, দাবি কূটনীতিকের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ এএম, ২৪ আগস্ট ২০২০

অডিও শুনুন

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে তিনি কোমায় রয়েছেন এবং দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন তার ছোট বোন কিম ইয়ো জং। দক্ষিণ কোরিয়ার এক কূটনীতিক এমন দাবি করেছেন বলে ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

মাত্র কয়েকদিন আগেই বোনের ক্ষমতা বাড়িয়েছেন কিম জং উন। এর মধ্যেই এমন চমকপ্রদ তথ্য সামনে এলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কিম দায়ে জুং-এর সাবেক সহযোগী চ্যাং সং মিন দাবি করেছেন, উত্তর কোরিয়া তাদের সর্বোচ্চ নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটার বিষয়টি লুকাচ্ছে। তার মতে, উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কোমায় রয়েছেন।

কিমের সুস্থতার বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, চলতি বছর কিমকে জনসম্মুখে খুব একটা দেখা না যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। কিছুদিন আগেই গুজব ছড়িয়েছিল যে কিম মারা গেছে। যদিও উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে এসব গুঞ্জন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে চ্যাং সং মিন নামের দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কূটনীতিক বলেন, আমার ধারণা তিনি কোমায় আছেন। তবে তিনি মারা যাননি।

তিনি আরও বলেন, কিম জং উনের ছোট বোন কিম ইয়ো জং (৩৩) ভাইয়ের কিছু ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। কিমের উত্তরাধিকারী কে হবে তা হয়তো এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আবার দীর্ঘকাল ধরে তার জায়গা শূন্য অবস্থায়ও দেখানো যাচ্ছে না। সে কারণেই হয়তো সাম্প্রতিক সময়ে বার বার কিম ইয়ো জংকে সামনে আনা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে কিমের কিছু ছবি প্রকাশের পরও চ্যাং সং মিন এমন দাবি করছেন। এসব ছবিতে কিমকে সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে দেখা গেছে। যদিও রয়টার্স বলছে, এসব ছবি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, কিম জং উন তার বোনকে দেশটির সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার প্রধান নীতি নির্ধারক হিসেবে কাজ করবেন তিনি।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।