ঢাবি ট্যুরিস্ট সোসাইটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত


প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

বর্ণাঢ্য র‌্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, লণ্ঠন প্রজ্জ্বলন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিস্ট সোসাইটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও নবীনবরণ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়েছে।

শনিবার দিনব্যাপী ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এটি উদযাপিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ট্যুরিস্ট সোসাইটি’র সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্মৃতিমধুর গৌরবোজ্জ্বল বিগত দিনের প্রেরণা উৎসাহে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। পর্যটন একটা সম্ভাবনাময় শিল্প, শ্রমঘন এই শিল্প দেশের অর্থনীতি এবং সংস্কৃতি বিকাশের অপার সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। মানুষের স্পর্শনির্ভর এই শিল্পে প্রশিক্ষিত জনশক্তির সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পর্যটন মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পারে- মানসিকতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে দিতে পারে।

উপাচার্য গুরুত্ব সহকারে বলেন, পর্যটন শিক্ষারই একটা অংশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিজম সোসাইটির সদস্যরা নিজস্ব শক্তি ও উদ্যোগে কর্মমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করে এই প্রতিপাদ্যকে জনমতের কাছে তা তুলে ধরতে পারে।

উপাচার্য আরও বলেন, আভ্যন্তরীণ পর্যটনকে সামনে রেখে বিশেষ কর্মকাণ্ড গ্রহণ করা আবশ্যক। পর্যটন বিকাশের মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে উন্মোচন করা যায়, এতে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া দেশে-বিদেশে সফর করলে দেশকে যেমন অনুভব করা যাবে বিদেশকে তেমনি জানা যাবে, পর্যটনের ঐতিহ্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যটন শিক্ষায় আগ্রহও সৃষ্টি হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ট্যুরিস্ট সোসাইটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।

এমএইচ/একে/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।