অভ্যন্তরীণ সম্পদ নির্ভর হবে এসডিজি অর্জন
অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হবে বলে জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা জানানো হয়।
সংস্থাটি বলছে, এসডিজি অর্জন নির্ভর করছে সম্পদ পর্যাপ্ততার ওপর। তবে বিদেশি সম্পদ না পাওয়া গেলেও অভ্যন্তরীণ সম্পদ দিয়ে এসডিজি অর্জন করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে পাঁচটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।
‘টেকসই উন্নয়ন-২০৩০ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশের কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’ শীর্ষক সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন অভিমত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) সফলভাবে অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তবে এমডিজিতে উন্নত বিশ্ব তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড় করেননি। দাতা সংস্থাগুলো গড়িমসি করেছে। এখাতে বিদেশি সহায়তা তেমন পাওয়া যায়নি। দেশীয় সম্পদ দিয়ে এসজিডি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সক্ষমতা বাড়াতে হবে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধিতে নতুন খাত খুঁজে বের করতে হবে।
সিপিডি মনে করে, এসডিজি অর্জনে জাতীয় পরিকল্পনা এবং নীতিমালার মাধ্যমে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হবে। অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের উপায়গুলোর ধারাবাহিক পদ্ধতিতে যেতে হবে। সব ধরনের ডাটা প্রাপ্তিতে জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থাগুলোর সক্ষমতা থাকতে হবে। সব বিষয়গুলো প্রাতিষ্ঠানিক রুপে নিয়ে আসতে হবে।
দেবপ্রিয় বলেন, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশীয় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। দেশের টাকা যাতে বাইরে চলে না যায় সেই জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এর পরিমাণ মাত্র জিডিপির ১২ দশমিক ১ শতাংশ যা নেপালের থেকেও কম। বৈদেশিক সহায়তা বাড়াতে হবে। বর্তমানে বেসরকারি বিনিয়োগ মাত্র ২২ দশমিক ১ শতাংশ। এটাকে ২৮ থেকে ২৯ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
সিপিডি মনে করে, এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সামনে এখন পাঁচটি চ্যালেঞ্জ। এগুলো হলো, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচিকে জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সমন্বয় করা, সবার অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা, সম্পদের প্রাপ্যতা, বস্তুনিষ্ঠ পরিসংখ্যান ও তদারকি এবং কাঠামোগত কৌশল ও বাস্তবায়ন।
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী ও এ বি এম মির্জা আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।
এসএ/একে/আরআইপি