মূল সনদ জমা নিয়ে ৫ লাখে প্রশ্ন ফাঁস


প্রকাশিত: ০৯:১৮ এএম, ৩১ অক্টোবর ২০১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ৫ লাখ টাকা চুক্তিতে প্রশ্ন ফাঁস ও উত্তর সরবরাহের কথা স্বীকার করেছে।

শনিবার এবিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন ডিবির উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম।

এর আগে শুক্রবার রাতে জিয়া হলসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, ভর্তিচ্ছুরা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে তাদের কাছ থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতো। শিক্ষার্থীরা যাতে টাকা কম দিতে না পারে সেজন্য মূল সনদ জিম্মি রাখে আসামিরা। প্রশ্ন মিল থাকার কথা বলে ভর্তিচ্ছুকদের কাছ থেকে ট্রান্সক্রিপ্ট, সনদপত্র, মোবাইল প্রভৃতি জিনিসপত্র তাদের চুক্তিকৃত টাকা হাতে পাওয়ার শর্তে জিম্মায় নেয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জোবায়ের হোসেন, সাজু আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, ছাব্বির হোসেন, হাসানুর রশিদ, মেহেদী হাসান, হৃদয় ইসলাম, রায়হান রাব্বি, আকাশ আহম্মেদ, তানভীর, সবুজ খান, মো. সোহাগ, মেহেদী হাসান, আকিব বিন বারি, নাহিদুল হক নোমান ও মানিক মিয়া।

আটকের সময় তাদের হেফাজত থেকে শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল সনদপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট, মোবাইল ফোন, হোয়াটস আপে প্রেরণ করা ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফেসবুকে যোগাযোগ এবং অ্যাড দেওয়ার কথাবার্তার ডাউনলোডকৃত কপি উদ্ধার করা হয়।

প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে মূল হোতাদের প্রসঙ্গে ডিবির ডিসি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অপরাধ আইন ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত বেড়িয়ে আসবে।

এআর/এসকেডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।