বাংলাদেশে ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব ভারতের
বাংলাদেশসহ পাঁচ দেশের সাথে এয়ার বাবল ফ্লাইট চালুর প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হারদিপ সিং পুরি টুইট করে এ তথ্য জানিয়েছেন। ট্রাভেল বাবল বা এয়ার বাবল হলো তৃতীয় কোন দেশকে যুক্ত না করে নির্দিষ্ট নিয়মনীতি মেনে দুই দেশের মধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা করা।
করোনায় বিকল বিমান খাত সচল করতে সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ ১৩ দেশের সাথে ফ্লাইট পরিচালনার আলোচনা চালাচ্ছে ভারত। দেশটি এর আগে জুলাই থেকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, মালদ্বীপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত; এই ছয় দেশের সঙ্গে এমন ফ্লাইট চালু করে।
মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে গত ২৩ মার্চ থেকে ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ। দেশটির বিমান পরিবহন মন্ত্রী হারদিপ সিং পুরি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা আলাপ সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছি এবং নতুন করে আরও ১৩টি দেশের সাথে বিমান চলাচলের পরিকল্পনা চলছে।
তিনি জানান ফ্লাইট চালুর ব্যাপারে আলোচনা চলমান আছে এমন দেশগুলো হলো অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, বাহরাইন, ইসরায়েল, কেনিয়া, ফিলিপাইন, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং থাইল্যান্ড।
এর বাইরে যদি কোনো দেশ এরকম দ্বি-পাক্ষিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় তাহলে ভারত সেটি বিবেচনা করবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আটকে থাকা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরানোই আমাদের প্রধান প্রচেষ্টা, কোনো ভারতীয় যেন এ থেকে বাদ না পড়ে’।
Air bubbles have also been proposed with our neighbors Sri Lanka, Bangladesh, Afghanistan, Nepal &Bhutan. Going forward, we will consider such arrangements with other countries also. It is always our endeavour to reach out to every stranded citizen. No Indian will be left behind.
— Hardeep Singh Puri (@HardeepSPuri) August 18, 2020
টানা দুই মাসের লকডাউন শেষে গত ২৫ মে ভারতে অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল শুরু হয়। করোনা প্রাদুর্ভাবের আগের তুলনায় দেশটিতে এখন ৪৫ শতাংশ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু রয়েছে।
মহামারি নিয়ন্ত্রণে জারি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ভারতসহ বিশ্বের বিমানখাত। ব্যয় সংকোচনে বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স কর্মী ছাঁটাই, বেতন কমানো, বেতন বহির্ভূত ছুটির মতো পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসএ