এ পর্যন্ত আইএসের হাতে নিহত ১৩ সাংবাদিক


প্রকাশিত: ১২:৪৭ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০১৫

ইরাকে ২০১৪ সালে মসুল শহর দখল পরে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত (আইএসআইএল ) এ পর্যন্ত ১৩ সাংবাদিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমকর্মীকে হত্যা করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, উগ্রপন্থি এই জঙ্গি-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে সাংবাদিকরা ‘প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হয়েছেন। ১৬ মাস আগে মসুলে অপহৃত ৪৮ গণমাধ্যমকর্মীর মধ্যে অন্ততপক্ষে ১০জনের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) বলছে, স্থানীয় টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইএস। এরপর থেকে মসুলের কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না। আইএস শহরটিকে ‘তথ্যের কৃষ্ণগহ্বরে’ পরিণত করেছে।

আরএসএফ-এর মধ্যপ্রাচ্য ও মাগরেবের প্রধান আলেকজান্দ্রা এল খাজেন জানিয়েছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের স্টুডিওগুলোর যন্ত্রপাতিগুলো এখন ‘যুদ্ধের জঞ্জালে’ পরিণত হয়েছে।

ধারণা করা হয়, আইএস জঙ্গিরা সামা মসুল টেলিভিশনের যন্ত্রপাতি জব্দ করে সেগুলো দিয়ে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে শহরটির গ্রেট মসজিদে গোষ্ঠীটির প্রধান স্বঘোষিত ‘খলিফা’ আবু বকর আল বাগদাদির ভাষণ ধারণ করা হয়। ওই ভাষণের মধ্যদিয়েই বাগদাদি সর্বপ্রথম জনসমক্ষে আসেন।

তখন থেকে এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেই আইএস তাদের টেলিভিশন চ্যানেল দাবিক এবং রেডিও স্টেশন আল-বয়ান চালিয়ে আসছে। আরএসএফ জানিয়েছে, আইএসের কাছে মসুলের পতনের পর ৬০ জন সাংবাদিক শহরটি থেকে পালিয়ে যান। প্রায় ১৩ জন সাংবাদিকে মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের খবর পাওয়া গেছে বলে আরএসএফ জানিয়েছে।

এসকেডি/এমএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।