চীনে খাদ্য অপচয় বন্ধে ‘খালি প্লেট’ আন্দোলন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৪৫ এএম, ১৪ আগস্ট ২০২০

চীনে খাদ্য অপচয় নষ্ট বন্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ক্লিন প্লেট’ শিরোনামে একটি সামাজিক আন্দোলন। হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষজনকে কম খাবার অর্ডার দেওয়ার জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। খবর বিবিসি অনলাইনের।

প্রেসিডেন্ট শিকে উদ্ধৃত করে দেশটির রাষ্ট্রায় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে চীনে ‘খাদ্যের অপচয় ভীতিকর’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিবিসি বলছে, চীনে খাবারের অপচয় নিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সতর্কবার্তা দেওয়ার পর ‘ক্লিন প্লেট ক্যাম্পেইন‘ শুরু হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, ‘যে কোনো সময় খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে; মানুষকে সবসময় এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। এ বছর করোনাভাইরাস মহামারি খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সাবধানতার প্রয়োজনীয়তা নতুন করে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’

চীনে দল বেঁধে খেতে গেলে অতিমাত্রায় খাবার অর্ডার দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু এখন সরকারি উদ্যোগে নানা প্রচারণায় মানুষজনকে হোটেল-রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত খাবার অর্ডার না করার জন্য বলা হচ্ছে এখন। এই ‘ক্লিন প্লেট’ প্রচার শুরু হতেই চীন খাদ্য সংকটে পড়েছে কিনা তা নিয়ে কিছু গণমাধ্যমে জল্পনা শুরু হয়েছে।

সারা দেশে ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানগুলো প্রেসিডেন্টের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাদের অতিথিদের কম করে খাবার অর্ডার দিতে উৎসাহিত করছে। রেস্তোরাঁগুলো তথাকথিত ‘এন-ওয়ান‘ নীতি অনুসরণের চেষ্টা শুরু করেছে অর্থাৎ একটি টেবিলে যতজন অতিথি তার চেয়ে অন্তত একটি ডিশ কম অর্ডার দিতে বলা হচ্ছে।

ডিশে খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ২০১৮ সালে চীনা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি জানিয়েছিল, রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে একেকজন প্রতিবার গড়ে ৯৩ গ্রাম খাবার নষ্ট করে। সেই হিসাবে চীনের বড় শহরগুলোতে রেস্তোরাঁগুলো গড়ে প্রতি বছর ১ কোটি ৮০ লাখ টন খাদ্য ফেলে দিচ্ছে।

এস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।