বৈরুত বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ২২০, নিখোঁজ আরও শতাধিক
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে গত মঙ্গলবারের ভয়াবহ বিস্ফোরণের নিহতের সংখ্যা দুইশ’ ছাড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। সোমবার বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মারওয়ান আবুদ বলেছেন, বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বিদেশি কর্মী। এদিকে, বৈরুতের বিস্ফোরণের পর সরকারের ব্যর্থতা ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে দ্বিতীয় রাতের মতো রোববার দেশটির পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পর দেশটির পার্লামেন্টের অন্তত তিনজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেও বিক্ষুব্ধ জনতার ক্ষোভ কমেনি।
সোমবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসার কথা রয়েছে। মন্ত্রিসভার এই বৈঠকের আগে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন। দিয়াব বলেছেন, বৈরুতের বন্দরে প্রায় ছয় বছর ধরে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে।
বিপজ্জনক রাসায়নিক উপাদান ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী বৈরুতের পাশে মজুদের সঙ্গে রাজনৈতিক এলিটদের দুর্নীতি, সরকারের অবহেলা এবং অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন অনেক লেবানিজ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মারসাদ অনলাইনে বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১০ জন।
আল জাদিদ টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নিখোঁজদের মধ্যে অনেক বিদেশি কর্মী এবং লরি চালক রয়েছেন। তাদের শনাক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিস্ফোরণস্থলে জীবিত কাউকে খুঁজে না পাওয়ার পর লেবাননের সেনাবাহিনী উদ্ধার অভিযান বাতিল করেছে। এদিকে, রাজধানী বৈরুতের হাজার হাজার বাসিন্দা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরে বসবাস করছেন। অনেকের ঘরে জানালা অথবা দরজাও নেই।
বৈরুতের এই বিস্ফোরণের কারণে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করছেন দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা। এছাড়া দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতি এক হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।
এসআইএস/এমকেএইচ