লেবাননে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট
লেবাননে যাচ্ছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লেস মিশেল। শনিবার তিনি বৈরুতের উদ্দেশে রওনা দেবেন। গত মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বৈরুত। ওই বিস্ফোরণে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত এবং আরও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিপর্যস্ত বৈরুতের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যেই দেশটিতে ইতালি, ফ্রান্স, ইরান, ইরাক, কুয়েত-সহ বিভিন্ন দেশ থেকে মানবিক ও মেডিকেল সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লেস মিশেল এক টুইট বার্তায় তার লেবানন সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা বৈরুত বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পাশে দাঁড়িয়েছি এবং তাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাব।
এই সফরে তিনি লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন, পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি এবং প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও বৈরুতে সফর করেছেন। তিনি দু'টি বিমানে করে উদ্ধারকর্মীদের একটি দল ও মানবিক সহায়তা নিয়ে বৈরুতে পা রাখেন।
বৈরুতে গত মঙ্গলবারের ওই প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের কারণ এখনও শতভাগ নিশ্চিত না হলেও সংশ্লিষ্টদের বিশ্বাস, বন্দরের গোডাউনে প্রায় ছয় বছর ধরে মজুত রাখা বাজেয়াপ্ত ২ হাজার ৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট থেকেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বিস্ফোরণের তাণ্ডবে বৈরুত শহরের প্রায় অর্ধেকটাই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে দেড়শ’ কিলোমিটার দূর থেকেও তা অনুভব করা গেছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় ৪ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে, ওই বিস্ফোরণের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত অপরাধীদের খুুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটিকে চারদিনের সময় দিয়েছে লেবানন সরকার। দেশটির সামরিক প্রসিকিউটর নিশ্চিত করেছেন যে, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় বৈরুত বন্দরের ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
টিটিএন/এমএস