সুন্দরবনে সব ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ


প্রকাশিত: ১১:১৮ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০১৫

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সুন্দরবনে সব ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বনের এই সম্পদ আহরণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি সুন্দরবনের নদ-নদী ও খাল পাড়ের ‘হোগলা’ আহরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের দুবলারচরসহ বনহীন চরগুলোতে চলতি শুটকি মৌসুমে জেলে-বহরদাররা অস্থায়ী জেলে পল্লীতে অবস্থান করে বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মাছ শুকাতে পারবে। তবে কোনো অবস্থাতেই অস্থায়ী শুটকি পল্লীর জেলেদের সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালে মাছ আহরণ করতে দেয়া হবে না। এমনকি তাদের সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, শুটকি মাছ আহরণ নিয়ে জেলেদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে কোনো বাধা নেই।

সুন্দরবন পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকার বিষয়ে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কঠোরতাসহ ইকো-ট্যুরিজম (প্রতিবেশ পর্যটন) সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বন মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যার ফলে সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা অতীতের থেকে ভালো অবস্থায় চলছে, সমন্বিতভাবে কাজ করলে সুন্দরবন নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

এর আগে সুন্দরবনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করে পর্যটন খাতের বিকাশ ঘটানোর দাবিতে গত ১৮ আগস্ট খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক বছরের জন্য সুন্দরবনের বনজসম্পদ আহরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টি উত্থাপিত হয়। নানা শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় অন্তত এক বছরের জন্য এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রস্তাব করেন।

শওকত আলী বাবু/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।