যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি টিকটকের
টিকটকের সঙ্গে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা বন্ধের নির্বাহী আদেশে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সই করায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছে চীনা ভিডিও শেয়ারিংয়ের ক্ষুদে এই অ্যাপ। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে টিকটকের মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সের সঙ্গে সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা জারির নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি।
ট্রাম্পের এই নির্বাহী আদেশের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ৪৫ দিন পর বাউটড্যান্সের সঙ্গে সব লেনদেন নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। চীনা এই কোম্পানি বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের নিষেধাজ্ঞার রূপরেখার এই নির্বাহী আদেশে তারা ‘বিস্মিত।’ টিকটক বলছে, আইনের শাসন যে বর্জনীয় নয়, তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রতিকার ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে।
চীনের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগের আরেক মাধ্যম উইচ্যাটের বিরুদ্ধেও ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তের পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের নতুন বিবাদ শুরু হয়েছে।
উইচ্যাটের মালিক প্রতিষ্ঠান টেনসেন্ট বলছে, পুরোপুরি বোঝার জন্য আমরা মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ পর্যালোচনা করছি।জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যে টিকটক নিষিদ্ধের হুমকি দিয়েছেন। তার এই ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্রে নিজেদের কার্যক্রম মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রির আলোচনা করছে চীনা এই কোম্পানি।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টিকটক বিক্রির চুক্তিতে পৌঁছানোর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। চীন সরকার টিকটকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও মার্কিন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে টিকটক।
বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির এ দুই দেশের মাঝে বেশ কিছুদিন ধরেই বাণিজ্য যুদ্ধ চলে আসছে। এর মাঝেই হংকংয়ে চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন, দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সম্প্রসারণবাদী কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং নভেল করোনাভাইরাস মহামারি ঘিরে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ব্যাপক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এবার চিরবৈরী দুই শক্তির দ্বন্দ্বে নতুন করে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি বিবাদ।
সূত্র: বিবিসি।
এসআইএস/এমএস