ফেনসিডিল নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
কফ সিরাপের উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে আরো কঠোর ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ভারত সরকার। দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ওষুধ কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে তাদের দেয়া নির্দেশনা মানছে না বলে মনে করছে।
কোডেইন মিশ্রিত কফ সিরাপ, যা বাংলাদেশে `ফেনসিডিল` নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং নেশার দ্রব্য হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়, তা নিয়ন্ত্রণে এক বছর আগে সরকার এই নির্দেশনা জারি করে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকার এখন এসব নির্দেশনা মানতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর উপর আরো চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতে চাহিদার চেয়ে ওষুধ কোম্পানিগুলো কয়েকগুণ বেশি কফ সিরাপ উৎপাদন করে বলে ধারণা করা হয়। এর বিরাট অংশই সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার হয়। পাচার হওয়া কফ সিরাপের উৎপাদনকারী এবং পাইকারি বিক্রেতা আসলে কারা, সেটা যাতে নির্ণয় করা যায়, সেজন্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ওষুধ কোম্পানিগুলোর ওপর বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, একটি ব্যাচে খুব বেশি বোতল কফ সিরাপ তৈরি না করার নির্দেশ ওষুধ কোম্পানিগুলো মানলেও অন্যান্য নির্দেশনা তারা মানছে না। একটি ব্যাচের সব বোতল কেবল একজন বিক্রেতার কাছে সরবরাহের যে নির্দেশনা ছিল সেই নির্দেশনা পালন করা হচ্ছে না।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রেশমি ভার্মা জানান, তারা এজন্যে এখন ওষুধ কোম্পানিগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। ভারতে কফ সিরাপের বাজার প্রায় দশ কোটি ডলারের। মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এবং অ্যাবট ল্যাবরেটরিজ সবচেয়ে বেশি কফের সিরাপ উৎপাদন করে।
এসঅাইএস/আরআইপি