ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী কৌশল হতে পারে না : ডব্লিউএইচও
অডিও শুনুন
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বিশ্বজুড়ে জারি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে পারে না। দীর্ঘস্থায়ী কৌশল হিসেবে এটি উপযুক্তও নয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে নিজ সীমান্তের মধ্যেই ভাইরাসটির বিস্তারের লাগাম টানতে হবে দেশগুলোকে। এসব কথাই সোমবার বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের গতি বাড়তে থাকায় আরও অনেক দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে। তবে অনির্দিষ্টকাল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি না করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দেশগুলোকে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকানোর কৌশল গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের এই অঙ্গ সংস্থাটি।
জেনেভায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেছেন, মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা থেকে শুরু করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানার মাধ্যমেই কোভিড-১৯ মহামারিকে হারানোর পথ পেতে পারে বিশ্ব। কিন্তু অনির্দিষ্টকাল ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা কোনো সমাধান নয়।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘যেখানে এসব স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে সেখানে সংক্রমণ নিম্নমুখী, যেখানে মানা হচ্ছে না সেখানে ঊর্ধ্বমূখী। এটিকে (করোনা) নিয়ে সামনে এখনও দীর্ঘ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে।’ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কানাডা, চীন, জার্মানি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর প্রশংসা করেন তিনি।
সংস্থাটির জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান বলেছেন, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলো টেকসই ছিল না। অজানা এক সময় পর্যন্ত যে কোনো দেশের পক্ষে নিজের সীমান্ত বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। অর্থনীতি পুনরায় সচল করতে হবে। কাজে ফিরতে হবে মানুষকে। আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকেও আবার সচল করতে হবে।’
তবে শঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। মহাপরিচালক টেদ্রোস বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। গত ছয় সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ পর্যন্ত জনস্বাস্থ্যে যত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে তার মধ্যে কোভিড-১৯ ‘সবচেয়ে গুরুতর’ উল্লেখ করেছেন তিনি।
বিশ্বের বেশির ভাগ স্থানেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নেই এবং পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি জানান, বিশ্বে অনেক স্থানেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার নজির আছে, এমনকি করোনার প্রকোপ বেশি থাকা অনেক জায়গাতেও এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
এসএ