সুস্মিতা আনিসের একক সংগীতানুষ্ঠান


প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৫

প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সুস্মিতা আনিস। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তার একক অ্যালবাম ‘শিশিরের স্পর্শে গাঁথা’। নজরুল সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগম স্মরণে এবং নজরুল সংগীতকে সর্বস্তরে আরো জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে এই অ্যালবামটি প্রকাশ করেন সুস্মিতা। শিল্পী তার অ্যালবামটি প্রিয় ফুপু ফিরোজা বেগমকে উৎসর্গও করেছেন।

বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে শিল্পীর অ্যালবামটি। এই অ্যালবামের গান ও নানা কথা নিয়ে সুস্মিতা হাজির হচ্ছেন এশিয়ান টিভিতে। ‘এশিয়ান মিউজিক’ নামের অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হবে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। উপস্থাপনায় থাকছেন ইয়ুসুফ আলি খান। শিল্পীর সাথে তবলায় বাজাবেন প্রখ্যাত তবলাবাদক সৈয়দ মেহের হোসেন।

প্রসঙ্গত, দেশের প্রথিতযশা সংগীত পরিবারে জন্ম সুস্মিতা আনিসের। তিনি পারিবারিকভাবে নজরুল সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী ফিরোজা বেগমের ভাইজি এবং তার একনিষ্ঠ শিষ্যা। মাত্র পাঁচ বছর বয়সেই সুস্মিতা তার ফুপুর কাছ থেকে সংগীতে তালিম নেন। তিনি  নজরুল সঙ্গীতের পাশাপাশি আধুনিক বাংলা গানেও সমান পারদর্শী, বিশেষত যে গানগুলো তার ফুপা কিংবদন্তি সুরকার কমল দাশ গুপ্ত সুর করেছেন।

সুস্মিতা আনিস বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) শিশুশিল্পী হিসেবে গান করেছেন এবং ১৯৭৬ সালে ‘নতুন কুঁড়ি’তে নজরুল সংগীতে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন। তার প্রথম তিনটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ফিরোজা বেগমের সংগীত পরিচালনায়।

সুস্মিতা আনিস গ্রাফিক ডিজাইনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করেন। পড়ালেখা শেষে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেই বসবাস করতে থাকেন। ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায় ক্যারিয়ার গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তবে তিনি কোনোভাবেই গানের রেওয়াজ বন্ধ রাখেননি এবং ফিরোজা বেগম  গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার আগ পর্যন্ত তার কাছ তালিম গ্রহণ করেন।

এই সময়টিতে সুস্মিতা আনিস ইটিভি, এনটিভি, চ্যানেল আই এবং কলকাতা ভিত্তিক তারা মিউজিকসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সংগীত পরিবেশন করেছেন। বর্তমানে তিনি নজরুল সংগীতকে অধিকতর জনপ্রিয় করে তুলতে এবং গণমানুষ বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।