এবার উত্তরাখণ্ডের অংশ দাবি নেপালের, চলছে অবকাঠামো নির্মাণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৭ এএম, ২৬ জুলাই ২০২০

সম্প্রতি ভারত সীমান্তের বেশ কয়েকটি অংশ নিজেদের বলে দাবি করেছে নেপাল। এবার উত্তরাখণ্ডের তনকপুরের ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’-এ একই দাবি জানিয়ে রীতিমতো অবকাঠামো তৈরির কাজও শুরু করে দিয়েছে সেদেশের মানুষ। খবর পেয়ে ভারতীয় প্রশাসন ঘটনাস্থলে গেলেও স্থানীয়দের তুমুল বাধার মুখে পিছু হটেছেন তারা।

তনকপুরের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিতর্কিত ওই এলাকাটি কাদের এবং তার সীমানা নির্ধারণের জন্য ভারত ও নেপালের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কাজ শুরুর আগেই করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেই পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে যায়।

এর মধ্যেই গত বুধবার তারের বেড়া দিতে ওই নো ম্যানস ল্যান্ডে প্রায় ২০টির মতো কাঠামো পুঁতে দিয়েছেন নেপালিরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ভারতীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। কিন্তু তাদের দেখে নেপালের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। পরে উত্তেজনা প্রশমনে পরে দু’দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেন।

ভারতের সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) কমান্ড্যান্ট আর কে ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, নেপালিদের বসানো কাঠামোগুলো কংক্রিট ও কাঠের তৈরি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সেগুলো তুলে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে নেপালের সশস্ত্র বাহিনী।

তবে বৈঠকে উপস্থিত এক এসএসবি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নেপাল মুখে কাঠামো সরিয়ে নেয়ার কথা বললেও বাস্তবে কোনও কাজ করেনি। গত শুক্রবারও নেপালের লোকজনদের পিলারে তার বসাতে দেখা গেছে।

স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, নেপালের পুলিশ ও প্রশাসনের সমর্থনেই স্থানীয়রা কাঠামো তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। নেপালের সশস্ত্র বাহিনী যখন আমাদের আশ্বাস দিচ্ছিল যে কয়েকদিনের কাঠামো তুলে নেয়া হবে, ওরা (স্থানীয়রা) তখনও কাঠামো বসাতে ব্যস্ত ছিল।

চম্পাবতের পুলিশ সুপার লোকেশ্বর সিং জানিয়েছেন, বিষয়টি সমাধানে শুক্রবার আর আলোচনা হয়নি। ভারতের পক্ষে বিষয়টি আপাতত এসএসবির হাতে রয়েছে। কিন্তু আশ্বাস মতো কাঠামো সরানো না হলে দু'দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কথা বলবেন।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।