করোনাকে ‘ট্রাম্প ভাইরাস’ বললেন পেলোসি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির মধ্যে দ্বন্দ্ব যেন থামছেই না। সম্প্রতি করোনাকে ‘ট্রাম্প ভাইরাস’ বলে উল্লেখ করেছেন এই স্পিকার।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চরম ব্যর্থতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্পিকার পেলোসি বলেন, করোনা মহামারি পরিস্থিতি ভালো হওয়ার থেকে বরং আরও খারাপ হয়েছে ট্রাম্পের ব্যর্থতায়। এটি এখন স্পষ্টতই ‘ট্রাম্প ভাইরাস’।
মঙ্গলবার দেশটির করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারও নিয়মিত সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়েছে।
তবে এবারের সংবাদ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের প্রধান ডা. ফাউসিকে।
ট্রাম্পের ব্রিফিং শেষেই করোনাভাইরাসকে ‘ট্রাম্প ভাইরাস’ নামে আখ্যা দেন স্পিকার পেলোসি। মহামারি পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগেই আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। ট্রাম্পের এমন বক্তব্যের পরই পেলোসি তার প্রতিক্রিয়া জানান।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মার্কিনিদের মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যদিও শুরু থেকেই তিনি মাস্ক পরাকে গুরুত্ব দিতে চাননি। মাস্ক পরা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন নীতির কঠোর সমালোচনা করেছেন পেলোসি।
তিনি বলেন, মাস্ক পরার আহ্বানের মধ্যে দিয়ে প্রেসিডেন্ট এতদিন যে ভুলগুলো করেছেন সেগুলোর স্বীকৃতি দিলেন। তিনি নিজেই এখন মাস্ক পরছেন। এর ফলে স্বীকৃতি পেল যে মাস্ক পরাতে কোনো ভাওতাবাজি নেই।
এর আগে চীনের সমালোচনা করে করোনাভাইরাসকে চীনা ভাইরাস নামে আখ্যা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দেশটি।
একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রেই একমাত্র লক্ষাধিক মানুষ করোনায় মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় কোটির কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ লাখের বেশি মানুষ।
টিটিএন