মানি লন্ডারিং অধ্যাদেশের দুটি ধারা নিয়ে রুল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এর স্বাধীনতা খর্ব করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধনী) অধ্যাদেশ ২০১৫ এর দুটি ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০১৫ এর ধারা দুটি হলো- ২(খ) (ট) (অ) (আ), ৫,৬ ৭ (খ)।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর এর সমন্বয়ে গঠিত অবকাশকালীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হাইকোর্টের সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি ব্যারিস্টার এবিএম বিএম আলতাফ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম।
পরে ব্যারিস্টার এ বিএম আলতাফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, কোন ব্যাখ্যা ছাড়াই এই অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে। ফলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে সরকার দুদকে ব্যবহার করছে। তাই সংক্ষুব্ধ হয়ে জনস্বার্থে গত ২৫ অক্টোবর ইমতিয়াজ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি রিটটি করেন। রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয় উপরিউক্ত ধারাগুলো দূর্নীতি দমন কমিশনের,২০০৪ এর ২ক,৩(২),৩(৩),১৭(ঞ) এবং ২০,২৪ ও ৩২(১) ধারার সাথে সাংর্ঘষিক। এর মাধ্যমে দুদকের ক্ষমতাকে খর্ব করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অর্থদণ্ড দ্বিগুণ ও একাধিক সংস্থার যৌথ তদন্তের সুযোগ রেখে ‘মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ (সংশোধন) আইন-২০১৫’ অধ্যাদেশ আকারে জারির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আপাতত সংসদের অধিবেশন না থাকায় অধ্যাদেশ জারি করা হবে। গত ৫ অক্টোবর সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তার আগে গত ১৭ আগস্ট সংশোধিত মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। কিন্তু আইনটি প্রণয়নের আগেই সংসদ অধিবেশন শেষ হয়ে যাওয়ায় তা আইনে পরিণত করা যায়নি। পরবর্তী সংসদ অধিবেশনে তা আইনে রূপান্তর করা হবে। আইনটি কেবল অধ্যাদেশ আকারে জারি হচ্ছে। এর উপাদানগত কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।
এফএইচ/এসকেডি/এমএস