এএসআই ইব্রাহিম হত্যাকাণ্ডে পুলিশের গাফিলতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে
এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের কোন গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় ইব্রাহিম মোল্লা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল (গাবতলি পর্বত সিনেমা হলের পাশে) পরিদর্শনে এসে তিনি একথা বলেন।
মারুফ হাসান বলেন, ঘটনাটা আকস্মিক। চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে এএসআই ইব্রাহিম দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের শিকার হন। অন্য পুলিশরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘটনাটি ঘটেছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনার পর কামরাঙ্গিচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে এক জামায়াত নেতার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় যিনি পলাতক রয়েছেন তিনি ছাত্র শিবিরের বগুড়া জেলা সভাপতি এনামুল হক। তিনিই ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছি। ঘটনাটি কিভাবে ঘটলো। কেন ঘটলো। অন্য পুলিশদের কোনো গাফিলতি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে।ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে।
হোসনি দালান ও এএসআই হত্যায় একইগ্রুপ জড়িত বলা হচ্ছে এর কারণ কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, হোসনি দালানের বিস্ফোরক ও এএসআই হত্যার পর কামরাঙ্গিচর থেকে উদ্ধার বিস্ফোরকের মধ্যে মিল পাওয়ায় তাই ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় শিবিরের সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের উদ্দেশ্যে কি ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল রাজধানীতে একটা বড় ধরণের অরাজকতা করার। এএসআই হত্যার পর তা ভেস্তে গেছে।এ ঘটনার পর বগুড়াসহ বেশ কয়েকটি স্থান থেকে জামায়াত শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
ইতালীয়ান নাগরিক হত্যার পর ডিএমপি সদর দফতর থেকে পুলিশ সদস্যদের সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।এক্ষেত্রে সে নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে হলে আমরা নিশ্চিত হতে পারবো।
জেইউ/জেডএইচ/এআরএস/পিআর