নিজের শহরেই পোড়ানো হলো মেলানিয়ার মূর্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২০

মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের নিজের শহর স্লোভেনিয়ার সেভনিকায় তার আদলে তৈরি একটি মূর্তি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

গত ৪ জুলাই রাতে ওই মূর্তিটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যেই মার্কিন ফার্স্ট লেডির একটি কাঠের মূর্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

ব্র্যাড ডাউনি নামে বার্লিনে বসবাসকারী এক মার্কিন স্থপতি ওই মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন। রয়টার্সকে ওই মূর্তিটি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন তিনি। আগুনে পুড়ে কাঠের মূর্তিটি কালো হয়ে গেছে।

এই ঘটনার পরেই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া মেলানিয়া ট্রাম্পের মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ। ব্র্যাড ডাউনি বলেন, আমি জানতে চাই ওরা এটা কেন করেছে?

আমেরিকার বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের মূর্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে ওয়াশিংটনে মেলানিয়া ট্রাম্পের কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। বেশ কিছুদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে কোনো ঐতিহাসিক স্থাপত্য নষ্ট করলে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

যে বা যারা মেলানিয়া ট্রাম্পের মূর্তিতে আগুন ধরিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্র্যাড ডাউনি। আগামী সেপ্টেম্বরেই স্লোভেনিয়ায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চলেছে ডাউনি।

এদিকে, এই বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়ায় কোনো মন্তব্য করা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র অ্যালেংকা ড্রেনিক। আগুনে পুড়ে মূর্তিটির মুখ এতটাই কালো হয়ে গেছে যে, মুখ দেখে কিছুই চেনা যাচ্ছে না। তবে মূর্তির পরনের পোশাকটি থেকে মেলানিয়া ট্রাম্পকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে।

মূর্তিটির পরনে হালকা নীল রঙের কোট রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্ট লেডির পরনে ছিল একই রকমের পোশাক। গত বছর স্লোভেনিয়ার মোরাভকে শহরে একইভাবে পোড়ানো হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মূর্তি।

টিটিএন/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।