২১০০ সালের মধ্যে কমাতে হবে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার
জাতিসংঘের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল বলছে, বিশ্বকে ভয়াবহ জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বাঁচাতে হলে ২১০০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার থেকে সরে আসতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আন্তঃসরকার প্যানেল বা আইপিসিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে কার্বনমুক্ত জ্বালানী থেকে। আর তা না হলে সারাবিশ্বে গুরুতর, ব্যাপক এবং অপরিবর্তনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে প্রতিবেদনে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানী এবং সরকারী কর্মকর্তাদের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী বিতর্ক শেষে রোববার কোপেনহেগেন থেকে সমন্বিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইপিসিসি। ২০১৫ সাল নাগাদ একটি নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় কার্বন নিঃসরন কমানোর যে পরিকল্পনা রয়েছে, সেটিকে উদ্দেশ্য করেই এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের টার্গেট অনুযায়ী বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হলে কার্বন নিঃসরন কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অর্জন করা সম্ভব না হলে বিপদজনক জলবায়ু পরিবর্তনের সূত্রপাত হতে পারে ।
সারাবিশ্বে নবায়নযোগ্য জ্বালানীর ব্যাবহার বর্তমান ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০৫০ সাল নাগাদ ৮০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। জাতিসংঘ বলছে, এনিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে নিষ্ক্রিয় থাকলে চড়া মূল্য দিতে হবে।
আইপিসিসির প্রধান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়ে এটিই সবচেয়ে জোরালো প্রতিবেদন। তিনি বলেন, গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ বন্ধের জন্য এই প্রতিবেদনটি নীতিনির্ধাকরদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব না হলে আগামী দশকগুলোতে বৈশ্বিক তাপমাত্রা আরো বাড়বে এবং এই শতকের শেষ নাগাদ শিল্পায়নপূর্ব সময়ের চেয়ে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে। সুত্র: বিবিসি