লালুকে তান্ত্রিক বলে মোদির কটাক্ষ


প্রকাশিত: ০৯:২৯ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৫

বিহারের মাটিতে ভোটপ্রচারে গিয়ে রাষ্ট্রীয় জনতা দল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবকে ‘তান্ত্রিক’ বলে কটাক্ষ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের ভোটযুদ্ধ মধ্যগগনে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী মহাজোটের দুই মুখকে তীব্র আক্রমণ করলেন মোদি।

রোববার বিহারের ছাপড়ার এক সভায় তান্ত্রিক ইস্যুতে নীতীশ কুমার ও লালুপ্রসাদ যাদবকে লোকতান্ত্রিক ও মহাতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেন মোদি। তার অভিযোগ, বিহারের জনতাকে উন্নয়নের হিসেব না দিয়ে গণতন্ত্রকে অপমান করেছেন মহাজোটের এই নেতারা।

বিহার নির্বাচনে জাত ও সংরক্ষণের মেরুকরণের মোকাবেলা করার জন্য এদিন বিহারবাসীর উন্নয়নের জন্য ছয় দফা প্রতিশ্রুতি দেন মোদি। প্রত্যেক পরিবারের জন্য বিদ্যুৎ, সড়ক, পানি, কর্মসংস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ নীতীশ কুমারের সঙ্গে তান্ত্রিকের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, নীতীশ কুমার এক তান্ত্রিকের সঙ্গে কথা বলছেন। ফুটেজে কথোপকথন খুব একটা স্পষ্ট না হলেও তান্ত্রিককে বলতে শোনা যায় নীতীশ কুমার জিন্দাবাদ, লালুপ্রসাদ মুর্দাবাদ। নীতীশ কেন লালুর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন, সেই প্রশ্নও করতে শোনা যায় ওই তান্ত্রিককে।

ভোটের মাঝে এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই, আক্রমণের নয়া অস্ত্র হাতে পেয়েছে বিজেপি। নালন্দার সভা থেকে এদিন আরজেডি-কে রাষ্ট্রীয় জাদুটোনা দল বলে কটাক্ষ করেন মোদি। নাম না করে লালু-নীতীশকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, রাজ্যের দুরবস্থার জন্য দায়ী বড়ভাই (লালুপ্রসাদ) ও ছোটভাই (নীতীশ)। এখানেই থেমে না থেকে লালুপ্রসাদকে তান্ত্রিক বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘আপনি পারলে আপনার দলের নাম রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) থেকে রাষ্ট্রীয় জাদুটোনা পার্টি রাখুন। আর সেই দলের প্রধান হওয়ার দরুণ আপনিই হবেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় “তান্ত্রিক”।’

যদিও নীতীশ কুমার বা লালুপ্রসাদ যাদব কেউই মোদির আক্রমণকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের দাবি, মোদির কথার এখন আর কোনো গুরুত্ব নেই।

আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চলছেই। এর মধ্যে বিহারে পাঁচ দফা ভোটের শেষে শেষ হাসি কে হাসেন, সেটাই এখন দেখার।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।