সপ্তাহে একবার জাঙ্ক ফুড


প্রকাশিত: ০৩:১৬ এএম, ০৩ নভেম্বর ২০১৪

আমাদের নিজেদের সুস্থ রাখতে ডায়েট প্ল্যান করি। আর এই ডায়েট ঠিক করতে গিয়েই মন খুব খারাপ হয়ে যায়। বিশেষ করে যাঁরা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জন্য তো এই ডায়েট প্ল্যান একরকমের অভিসাপ বলা যায়।

আসলে মিষ্টি মানেই তো অনেক চিনি আর ময়দা। ফলে তা খেলে মোটা হওয়াটা খুব স্বাভাবিক। তাই বলে কি কোনও দিনই আর পিৎজা, গোলাপজাম, ব্রাউনি খাবেন না? অবশ্যই খাবেন। তবে সপ্তাহে একদিনের বেশি নয়। আবার সবকিছু একসঙ্গে খাবেন না যেন। কোনও সপ্তাহে বার্গার খেলে পরের সপ্তাহে ব্রাউনি বা রসগোল্লা। আর শুধু তাই নয় খাবারের পর ডোসার্ট হিসেবে মিষ্টি খেলে কিন্তু চলবে না।

আবার স্টার্টারেও যদি পিৎজা খান আর তারপর ফুল কোর্স লাঞ্চ বা ডিনার, তা হলেও কিন্তু ক্যালরি লাগবেই। তার কারণটা অবশ্যই গ্লাইসেমিক ইনডেক্স। এই ধরনের খাবারে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুব বেশি হয়। তাই পরিমিতিবোধটা থাকা দরকার। কালোজাম খেতে ভালবাসেন তো খান। রস চিপে বার করার দরকার নেই। কিন্তু ডেসার্ট হিসেবে নয়।

দুপুর আর বিকেলের মধ্যে স্ন্যাক্স টাইমে খেতেই পারেন। কিন্তু মাত্র একটা। এতে ক্যালরি ফ্যাটে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। তাই পিৎজা খান কিন্তু এক স্লাইস, বার্গার খান কিন্তু একটা। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স হাই থাকলে খাবারের লোড কমিয়ে দিন। তা হলেই ডায়েটও হবে আবার আপনার পছন্দের খাবারটাও খেতে পারবেন।

অনেকেই আছেন যারা ওজন কমাতে দিনে প্রচুর ফল খান। ‘অ্যান অ্যাপেল আ ডে কিপস দ্য ডক্টর আওয়ে’ ঠিক কথাই, তাই বলে দিনে পাঁচ- ছটা ফল খাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ মোটেও নয়। এক্সারসাইজের পরও ফল খেতে পারেন। কিন্তু এ ছাড়া যে কোনও সময় ফল খাওয়া মানেই ফলের ফ্রুকটোজকে ট্রাইগ্লিসারাইডে পরিবর্তন করা।

এই একই কারণে ফলের রস খাওয়াও ভাল নয়। এতে ফলের গুণ তো থাকেই না, উলটে ফ্রুকটোজের পরিমাণ থাকে পাঁচগুণ বেশি। আর বেশি ফ্রুকটোজ মানেই বেশি ট্রাইগ্লিসারাইড। এবার বুঝলেন তো, খারাপ খাবার খাওয়া যেমন মাঝে মধ্যে খাওয়া ভাল, সেরকম ভাল খাবারও তেমনই মাঝে মধ্যে বাদ দেওয়াটাও জরুরি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।