৭০০ কি.মি. দৈর্ঘ্যের বজ্রপাত ব্রাজিলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ২৯ জুন ২০২০

মানুষ প্রকৃতির কাছে যে কত অসহায় অনেক ঘটনার দিকে তাকালেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমানে কোভিড-১৯ (করোনাভাইরাসজনিত) নামক একটি রোগ পুরো বিশ্বকে থামিয়ে দিয়েছে। এ রোগের প্রতিকার এখনো মেলেনি। প্রতিদিন লাশের মিছিল দেখছে বিশ্ব। অথচ খালি চোখে দেখা যায় না এই ভাইরাস। আর এই অদৃশ্য জীবাণুর কাছেই হার মেনেছে বিশ্ব।

তবে শুধু করোনাভাইরাস নয়, বিশ্বে এমন অনেক উদাহরণ আছে যা প্রকৃতির সীমাহীন শক্তির জানান দেয়। তারই একটি উদাহরণ লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের একটি বজ্রপাত। সম্প্রতি জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৮ সালে ব্রাজিলে একটি বজ্রপাত হয়েছিল, যার দৈর্ঘ্য ছিল ৭০০ কিলোমিটার! যা বিশ্বরেকর্ড। এর আগে এত বড় মাপের ভয়ঙ্কর বজ্রপাত কখনো হয়নি।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত বিশ্বে দীর্ঘতম বজ্রপাতের দুটি রেকর্ড হয়েছে-একটি ব্রাজিলে, অন্যটি আর্জেন্টিনায়।

জাতিসংঘের আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ২০১৯ সালের ৪ মার্চ আর্জেন্টিনার মেগা ফ্লাশের স্থায়িত্ব ছিল ১৬.৭৩ সেকেন্ড। আর তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর ব্রাজিলে দেখা দেয়া বজ্রপাতের দৈর্ঘ্য মেপে দেখা গেছে ৭০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি, যা যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহর থেকে সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরের দৈর্ঘ্যের সমপরিমাণ।

ব্রাজিলের এই দীর্ঘতম বজ্রপাতের বিষয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটি একেবারে অত্যাশ্চর্য একটি ঘটনা।

এর আগের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০৭ সালে, যে সময়ে বজ্রপাতের দৈর্ঘ্য ছিল ৩২১ কিলোমিটার। সেটি ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহামা প্রদেশে। ৭.৭৪ সেকেন্ড ধরে সেটি চলেছিল।

তারও আগে ১৯৯৪ সালে মিশরে একটি বজ্রপাত হয়। ওই বজ্রপাতের আঘাতে দেশটির ৪৬৯ জনের মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, যদি বজ্রপাতের আলো আর শব্দের মধ্যে ৩০ সেকেন্ডের কম সময় থাকে, তাহলে ঘরের ভেতরে থাকাই শ্রেয়। কম করে ৩০ মিনিট পর বাড়ির বাইরে বের হওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

আসলে প্রকৃতির ক্ষমতা কতদূর, তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা পাল্টে দিচ্ছে অনেক ঘটনাই। ব্রাজিলের বজ্রপাতের এই ঘটনা যেন তারই ইঙ্গিত।

সূত্র : দ্য জাকার্তা পোস্ট

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।