করোনা : অন্তত ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে টাটা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ২৮ জুন ২০২০

করোনার জেরে লোকসান এড়াতে কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে ভারতের বহুজাতিক কোম্পানি টাটা গ্রুপ। ইতোমধ্যে গ্রুপের মালিকানাধীন সংস্থা থেকে এক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। খবর টাইমস নিউজ নেটওয়ার্কের

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ এড়াতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারত সরকারও দেশজুড়ে ঘোষণা করে লকডাউন। এতে অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতো বিমান পরিষেবা, গাড়িশিল্প ও এরোস্পেস সংক্রান্ত একাধিক ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টাটা গ্রুপের। প্রতিষ্ঠানের আয়ে ভাটা পড়েছে। তাই দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া পরিস্থিতিতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েই ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হচ্ছে টাটা গ্রুপকে।

ছাঁটাই তালিকার প্রথমেই রয়েছেন টাটার গাড়ি উৎপাদন ব্যবসায় যুক্ত চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, টাটা মোটরসের জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার শাখায় কর্মরত উৎপাদন বিভাগের চুক্তিবদ্ধ কর্মীদের মাথাতেই প্রথমে ছাঁটাইয়ের খড়গ পড়বে। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে টাটা গ্রুপের ইস্পাত উৎপাদন ব্যবসা থেকে ১০০০ থেকে ৯০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ওই কর্মীদের ২০% পর্যন্ত বেতন কমানোর পরিকল্পনা গ্রুপের।

লকডাউনের শুরুর দিকে টাটা গ্রুপ ঘোষণা দিয়েছিল যে, কোনো কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে না এবং লোকসান সামলাতে কোনো সম্পত্তি বিক্রি করা হবে না। কিন্তু টাইমস নেটওয়ার্কের এই প্রতিবেদন বলছে, আগের ঘোষণায় আর স্থির থাকতে পারছে না টাটা।

এর আগে গত ১৬ জুন ব্রিটেনের বৃহত্তম গাড়ি উৎপাদন সংস্থা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার ব্র্যান্ড ৩০% লোকসান দেখার পরে এক হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করেছে টাটা মোটরস।

টাইমস নিউজ নেটওয়ার্ক জানায়, ভারতে ২০২০ অর্থবছরে চতুর্থ মাস শেষে ৯৮৯৪ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে টাটা মোটরসের। অথচ এক বছর আগে এই সময়ে ১১০০ কোটি টাকা লাভ করেছিল সংস্থাটি।

তবে ভারতের ঠিক কোন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাঁটাই শুরু করতে পারে টাটা গ্রুপ, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে ছাঁটাই প্রক্রিয়া খুব দ্রুতই শুরু হবে বলে জানা গেছে।

এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।