ইসরায়েলের হামলায় গাজায় নিহত ১০০
শুক্রবার গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে আরো আট ব্যক্তি৷ ফলে সর্বশেষ সংঘাতে প্রাণহানির সংখ্যা একশো`তে পৌঁছেছে৷ আহত কমপক্ষে ৫০০ ব্যক্তি৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷
ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় প্রাণহানি ক্রমশ বেড়ে চলেছে৷ হামাসের রকেট হামলার জবাবে বিমান হামলার মাধ্যমে দিচ্ছে ইসরায়েলে, যাতে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষও৷ সর্বশেষ সংঘাতের চতুর্থ দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ভূমিকা রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি৷ হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, উভয়পক্ষের মধ্যকার বৈরিতা নিরসনে ভূমিকা পালনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ এর মধ্যে ২০১২ সালের নভেম্বরে কার্যকর যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টিও রয়েছে৷
বলাবাহুল্য, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নিরীহ শিশু এবং নারীরাও রয়েছে৷ এমতাবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনও পরিস্থিতি শান্তি ফেরাতে বৈরিতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন৷
তবে ইসরায়েল বা হামাস কোনো পক্ষই শান্ত হবার আগ্রহ প্রকাশ করেনি৷ যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নেতানিয়াহুর এজেন্ডাতেই নেই বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে৷ আর গাজার সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং হামাসের সবচেয়ে সিনিয়র নেতা ইসমাইল হানিয়া জানিয়েছেন, ইসরায়েল সর্বশেষ আগ্রাসন শুরু করেছে এবং তাদের আগে থামতে হবে৷ কেননা আমরা শুধু আত্মরক্ষা করছি৷
এদিকে, ইসরায়েলের একটি বিমানবন্দর লক্ষ্য করে হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে হামাস৷ এ জন্য বেন গুরিয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারকারী বিমান কোম্পানিগুলোকে সতর্ক করেছে গোষ্ঠীটি৷ এছাড়া লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে রকেট ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী৷