সমালোচনার মুখে নাম পাল্টাচ্ছে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী
ত্বকের রং ফর্সাকারী ক্রিম হিসেবে নেতিবাচক ধারণা প্রচার করে বিভিন্ন সময় সমালোচনার মুখে পড়া ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর নাম পরিবর্তন করছে নিত্যব্যবহার্য ও খাদ্য পণ্য বিপণনকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার।
এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এই ক্রিমটি বিক্রি করে ইউনিলিভার। কোম্পানিটি বলছে, পণ্যটির নামে ফর্সাকারী বা উজ্জ্বলকারী শব্দগুলোও আর উল্লেখ থাকবে না। সৌন্দর্যের একটি আদর্শকে ব্র্যান্ডটি তুলে ধরে বলে স্বীকার করে নিয়েছে ইউনিলিভার।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন থেকে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর নামে পরিবর্তন আনার দাবি উঠেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, বিশ্বজুড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকারীরা পৃথক দুটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষর করে ফেয়ার অ্যান্ড লাভলীর উৎপাদন বন্ধে ইউনিলিভারের প্রতি আহ্বান জানায়। ওই পিটিশনে অন্তত ১৮ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেন।
তাদের এই আহ্বানের মুখে কোম্পানিটি ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী নাম থেকে ফেয়ার শব্দটি বাদ দেয়া হবে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। একটি পিটিশনে বলা হয়েছে, এই পণ্যটির মাধ্যমে বর্ণবাদ অভ্যন্তরীণভাবে সুবিধা পাচ্ছে এবং কালো ত্বক-বিরোধী মনোভাব উসকে দেয়া হচ্ছে।
অন্যটিতে দাবি করা হয়, ক্রিমটি আমাদের বলছে যে, আমাদের রঙে কিছু সমস্যা আছে; সৌন্দর্য অনুভব করার জন্য আমাদের উজ্জ্বল হতে হবে। যাতে আমাদের যোগ্য মনে হয়।
এদিকে, ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল) বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সার্বজনীন সৌন্দর্যের লক্ষ্যে ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিতে 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী' নামটি থেকে 'ফেয়ার' শব্দটি ব্যবহার বন্ধ করবে কোম্পানি। ব্র্যান্ডটির নতুন নাম অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নামটি পরিবর্তন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত দশকে 'ফেয়ার অ্যান্ড লাভলী'র বিজ্ঞাপন প্রচারণায় বিবর্তনের মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের বার্তাটি তুলে ধরা হয়েছে। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এমন একটি সামগ্রিক পন্থা অবলম্বন করা, যেটি অবশ্যই সার্বজনীন ও বৈচিত্র্যময় এবং সবখানে সবার কথা মাথায় রাখে। সব ধরনের গায়ের রঙ নিয়ে কথা বলতে ব্র্যান্ডটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এসআইএস/এমকেএইচ