ভারতকে আরও চাপে ফেলতে বিহারের একাংশ নিয়ে নতুন দাবি নেপালের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ২২ জুন ২০২০

চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষে ২০ সেনা প্রাণ হারানোর পর থেকেই বেশ চাপে রয়েছে ভারত। এর মধ্যেই তাদের দাবিকৃত তিনটি অঞ্চল অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপাল। এবার বিহারের কিছু অংশ নিয়েও নতুন দাবি জানাল দেশটি।

জানা গেছে, বিহার সরকারকে সীমান্তে একটি বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়ে ওই অঞ্চলকে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ দাবি করেছে নেপাল।

বিহারের মতিহারি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিভাগের প্রকৌশলী উমা নাথ রাম দ্য টেলিগ্রাফকে বলেন, লাল বাকাইয়া নদীটি প্রায় প্রতি বর্ষা মৌসুমেই বন্যার সৃষ্টি করে এবং প্রতিবছরই বাঁধ মেরামত করতে হয়। আমরা বাঁধটিকে আরও শক্তিশালী করা ও উচ্চতা বাড়ানোসহ এটিকে ৪ দশমিক ১ কিলোমিটার লম্বা করার কাজ করছি। ইতোমধ্যেই ৩ দশমিক ৬ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার বাঁধের কাজ শেষ হওয়ার পরেই নেপালের কর্মকর্তা ও নিরাপত্তাকর্মীরা এতে বাধা দেন। তাদের দাবি, এ প্রকল্পের কাজ হচ্ছে নো ম্যানস ল্যান্ডে। অবশ্য, নেপালিরা এসে কাজ বন্ধ করার আগেই আমরা আরও ৫০০ মিটারের কাজ শেষ করতে পেরেছিলাম।

nepal

জানা গেছে, নেপাল গত ৪ জুন বিহার সরকারকে বাঁধ নির্মাণে বাধা দিলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে গত শনিবার। এর মাত্র দু’দিন আগেই ভারতের দাবিকৃত তিনটি অঞ্চলসহ নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র অনুমোদন দেয় নেপালের সংসদ। নতুন ওই মানচিত্রে ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের লিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরার অঞ্চলগুলোকে নেপালি ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।

এছাড়া, গত ১৩ জুন বিহার সীমান্তে নেপালি বাহিনীর গুলিতে এক ভারতীয় নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন। গ্রামটিতে আন্তঃসীমান্ত বৈঠকের সময় এ ঘটনা ঘটে। তবে, নেপালের দাবি, লকডাউন নির্দেশনা অমান্য করায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে তারা।

সাম্প্রতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ভারত সীমান্তে সেনা টহলও বাড়াচ্ছে নেপাল। তৈরি হচ্ছে নতুন ক্যাম্প। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় হেলিপ্যাড বানানোরও কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। আর এসব কিছুর পেছনে চীনের মদদ রয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।

কেএএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।