গরুর রক্তে তৈরি করোনার ওষুধের পরীক্ষা শিগগিরই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পিএম, ১৯ জুন ২০২০

করোনা প্রতিরোধে সক্ষম অ্যান্টিবডি পাওয়া যাবে গরুর শরীর থেকে। আর তা দিয়েই কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটার বায়োটেক কোম্পানির গবেষকরা এমনই এক ধরনের গরুর জেনেটিক নকশা করছেন। আগামী গ্রীষ্মেই এর পরীক্ষা (ট্রায়াল) শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘সায়েন্স’ ম্যাগাজিনের এক প্রবন্ধে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর হেলথ সিকিউরিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আমেশ আদালজা বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক ফল। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যত বেশি ব্যবস্থা উদ্ভাবন হয় ততো ভালো।’

করোনার রোগের চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকর ওষুধ হলো রেমেডেসিভির ও ডেক্সামেথেসোন। এই ওষু দুটি করোনায় আক্রান্ত সংকটজনক রোগীর ক্ষেত্রে বেশ কাজে দিচ্ছে বলে গবেষণালব্ধ ফলাফলে জানা গেচে। এছাড়া ভাইরাসটি প্রতিরোধে সক্ষম ও সুস্থ ব্যক্তির প্লাজমা ব্যবহার করে থেরাপি ও চলছে।

বিভিন্ন রোগের অ্যান্টিবডি পেতে এতদিন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা জিনগতভাবে নকশা করা কোষ বা তামাক পাতা ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ২০ বছর আগেই দুধ উৎপন্নকারী প্রাণীর শরীর থেকে অ্যান্টিবডি তৈরির পরীক্ষা শুরু করে সাউথ ডাকোটার এসএবি বায়োথেরাপিউটিকস।

এজন্য জিনগতভাবে নকশা করা এসব গাভীর শরীরে ভাইরাসটি ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করায়। এই গাভীগুলোর কোষে এমন ডিএনএ থাকে যা ভাইরাসগুলোর সংস্পর্শে এসে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। পরে এই অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে প্রবেশ করালে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

এসএবি বায়োথেরাপিউটিকস এই ওষুধটির কয়েকশ ডোজ তৈরি করেছে। এই ওষুধটির নাম হলো এসএবি-১৮৫। শিগগিরই ওষুধটির ট্রায়াল শুরু হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে কতজনের দেহে এটি প্রয়োগ করা হবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এখনো এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এডি সুলিভান বলেন, ‘গবেষণাগারে প্রাণীগুলো (গাভী) এক ধরনের নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে; যা করোনাকে মেরে ফেলতে পারে। আমরা এই ওষুধটি নিয়ে ট্রায়ালে যেতে চাই। করোনা রোগের সমাধানের আশায় সম্ভাব্য এই ওষুধটি নিয়ে কাজ করছি আমরা।’

সুলিভান জানান, সাধারণত অন্য প্রাণীর চেয়ে আকারে বড় হওয়ায় গরুর দেহে প্রচুর রক্ত উৎপন্ন হয়। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে উৎপাদিত এসব গরুর রক্ত মানুষের দেহে অনুরূপ প্রোটিন সমন্বয় করতে পারে দ্রুতই। শুধু তাই নয়, এই গরুর রক্তে প্রতি মিলিলিটারে মানুষের রক্তের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়।’

এসএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।