চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই ৩৩টি রুশ যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৪ পিএম, ১৯ জুন ২০২০

লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীনের চলছে তীব্র সংঘাত। এ সংঘাত মোকাবিলায় ভারতীয় বিমানসেনাকে (বায়ুসেনা) আরও শক্তিশালী করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। ফলশ্রুতিতে ১২টি অত্যাধুনিক সুখোই ও ২১টি মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত। এর জন‌্য দেশটির বায়ুসেনা ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

বায়ুসেনাকে আরও নতুন করে সাজানোর জন‌্য ইতিমধ্যেই ৩৩টি নতুন কমব‌্যাট এয়ারক্র‌্যাফট কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই থাকবে ১২টি সুখোই, ২১টি মিগ-২৯। যুদ্ধবিমানগুলো দ্রুত কেনার জন‌্য কেন্দ্রের কাছে বায়ুসেনার তরফে অনুমোদন চেয়ে পাঠানো হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) এই পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন‌্য অনুরোধ করেছে। আগামী সপ্তাহে এই অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। রাশিয়া থেকে যে মিগ-২৯ এবার আনানো হবে তা এই যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে আগের যে চুক্তি হয়েছিল তাতে বদল এনে আরও কিছু সংযোজন হবে। মিগ-২৯-এ দু’টি ইঞ্জিন থাকে। এই যুদ্ধবিমান শত্রুপক্ষের বিমানকে নিখুঁত লক্ষ্যে ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। এর ওজনও সুখোই-৩০ এমকেআই বিমানের থেকে হালকা।

উল্লেখ্য, সদ্য চীনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলা সংঘাতের আবহে বিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল ব্যবহারের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে সরকার। এর ফলে নিরাপদ দূরত্ব থেকে চীনা সামরিক ঘাঁটি বা বিমান গুঁড়িয়ে দিতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা।

এদিকে, গত সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তে চীনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের ২০ সেনার মৃত্যুর পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন আরও ৫৮ জন। তারা সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কারও অবস্থাই সঙ্কটাপন্ন নয়। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। যদিও লাদাখ সীমান্তে চলমান ভারত-চীন সামরিক উত্তেজনা ও সংঘাতের বিষয়ে সমাধান আনতে বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও দুই দেশের মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে দ্বিতীয় দিনের এই বৈঠকও ব্যর্থ হয়েছে।

এফআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।