ডেক্সামেথাসন কী ও কীভাবে কাজ করে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৫৫ এএম, ১৮ জুন ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ হিসেবে দু’দিন ধরেই বিশ্বব্যাপী আলোচনার শীর্ষে ডেক্সামেথাসন। এটি প্রয়োগে মরণাপন্ন রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। ইতোমধ্যেই করোনার চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ একাধিক দেশ। ওষুধটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।

একনজরে দেখে নেয়া যাক ডেক্সামেথাসন সম্পর্কে কিছু তথ্য-

ডেক্সামেথাসন কী?
এটি মূলত স্টেরয়েড জাতীয় একটি ওষুধ। শরীরে বিশেষ হরমোন তৈরির মাধ্যমে প্রদাহ কমানোর কাজে ডেক্সামেথাসন ব্যবহৃত হয়।

এটি কীভাবে কাজ করে?
শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা দুর্বল করার কাজ করে ডেক্সামেথাসন। করোনাভাইরাস শারীরিক প্রদাহ তৈরি করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা তা বন্ধের চেষ্টা করে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা উল্টো প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে। ভাইরাসের বদলে শরীরের কোষকেই আক্রমণ করতে থাকে সেটি।

এমন অবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করতে ডেক্সামেথাসন প্রয়োগ করা হয়।

jagonews24

কাদের জন্য প্রযোজ্য?
মূলত গুরুতর অসুস্থ হয়ে যারা অক্সিজেন বা ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন, তাদের জন্যই ডেক্সামেথাসন বেশ উপকারী। স্বল্প উপসর্গযুক্ত রোগীদের ওপর এটি খুব একটা কাজ করবে না বা উপকারের বদলে বেশি ক্ষতি করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

ডেক্সামেথাসন কতটা কার্যকর?
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, ভেন্টিলেটর সাপোর্টে থাকা কোভিড-১৯ রোগীদের প্রতি তিনজনের মধ্যে একজনের মৃত্যু ডেক্সামেথাসন ব্যবহার করে প্রতিরোধ করা সম্ভব। অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা রোগীদের মধ্যে এর হার প্রতি পাঁচজনে একজন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি?
হ্যাঁ! ডেক্সামেথাসন ব্যবহারে সাধারণত দুশ্চিন্তা, ঘুমের ব্যাঘাত, ওজনবৃদ্ধি, শরীরে পানি জমার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চোখের সমস্যা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা ও রক্তস্রাবের মতো ঘটনাও দেখা গেছে।

তবে করোনা রোগীদের খুবই সীমিত মাত্রায় এ ওষুধ প্রয়োগ করা হয় বলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম হওয়ার কথা।

সূত্র: বিবিসি
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।