এএসআই খুনে জড়িত সন্ত্রাসী গ্রুপ : আইজিপি


প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০১৫
ফাইল ছবি

পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা খুনের ঘটনায় সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। শুক্রবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিহত ইব্রাহিম মোল্লার নামাজে জানাজা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি একথা বলেন।

আইজিপি বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে মাসুদ রানা নামে একজনকে আ্টক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা তার কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তার দেয়া তথ্যে এটাই স্পষ্ট যে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গ্রুপ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে কামরাঙ্গিরচরে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে আরো তিন জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
 
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে না ও উন্নয়নে বিশ্বাস করে না এমন একটি সংগঠনের তারা সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তারপরও পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এএসআই নিহতের ঘটনাটির ডিবি ও থানা পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত করছে।
 
ইব্রাহিম খুনের ঘটনাটি আকস্মিক বলে দাবি করে দুঃখ প্রকাশ করেন পুলিশের আইজিপি শহীদুল হক। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক একটি দুর্ঘটনা। ইব্রাহিম সাহসের সঙ্গে তার দায়িত্ব পালন করছিলেন। চ্যালেঞ্জ করে লাগেজ তল্লাশির সময় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের শিকার হন। দ্রুত এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের আশ্বাস দেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, মাসুদের তথ্য মতে আমরা কামরাঙ্গিরচরে ব্যাপক বিস্ফোরক ও বোমা উদ্ধার করেছি এবং গাজীপুর থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদঘাটন করেছি। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করলেই বুঝতে পারবো এর পিছনে কারা জড়িত এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
 
জানাজায় অংশ নেয়া ইব্রাহিম মোল্লার ভগ্নিপতি জামাল হায়দার বলেন, ইব্রাহিম ২০০৩ সালে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে এএসআই হিসেবে পদোন্নতি পান। এএসআই হওয়ার আগে তিনি ভাসানটেক থানায় কর্মরত ছিলেন ও পরে দারুস সালামে বদলি হন।
 
নিহত ইব্রাহিম এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। বড় সন্তান জান্নাতুল ফেরদৌস (৫) ও ছোট সন্তান পরাগের বয়স মাত্র দেড় বছর। ভগ্নিপতি জামাল হায়দার ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন স্ত্রী খায়রুন নেসা ও অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর দারুসালাম থানাধীন গাবতলীর পর্বত সিনেমা হল সংলগ্ন এলকায় দুই দুর্বৃত্তের ব্যাগ তল্লাশি করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহন হন এএসআই ইব্রাহিম মোল্লা। পরে সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান তিনি।

জেইউ/জেডএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।