পাঁচতলা থেকে দুই শিশুকে ছুড়ে ফেললেন ক্ষেপাটে প্রতিবেশী
বহুতল ভবনের সামনের সরু রাস্তায় পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত বছর দুয়েকের একটি শিশু। ছয় বছরের আরেক শিশু তখন ঝুলছে দোতলার তারের জটে। আর পাঁচতলা থেকে আরেক শিশুকে ছুড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন এক উন্মত্ত বৃদ্ধ।
রোববার বিকেলে এমন রক্ত হিম করা দৃশ্য দেখে রীতিমতো শিউরে উঠেছিলেন কলকাতার বড়বাজারের নন্দরাম মার্কেট ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, নিচে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তারে ঝুলে থাকা শিশুটিকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে সে।
জানা যায়, নেতাজি সুভাষ রোডের ছয়তলা ওই বাড়ির পাঁচতলায় থাকেন শিবকুমার গুপ্ত। ষাটোর্ধ্ব এ বৃদ্ধের স্ত্রী মারা গেছেন অনেক আগেই। ১৮ বছরের এক ছেলে রয়েছে তাদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন বিকেলে শিবকুমারের ঘরের সামনে খেলা করছিল শিশুরা। খেলার সময় কয়েকবার ধাক্কা লাগে ওই বৃদ্ধের ঘরের দরজায়। সম্ভবত এতেই বিরক্ত হয়ে ওই শিশুদের ওপর চড়াও হন তিনি।
এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমি ওষুধ কিনতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ একটি শিশু আমার সামনেই উপর থেকে পড়ল। দেখেই মনে হচ্ছিল তার শরীরে প্রাণ নেই। অন্য শিশুটিও নিচে পড়ত। কিন্তু সে তারের জটলায় আটকে যাওয়ায় প্রাণে বেঁচে গেছে।’
স্থানীয়রা জানান, ওই বৃদ্ধ ছোটখাটো ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, নিয়মিত মদ্যপান করেন। কারও সঙ্গে খুব বেশি মেলামেশাও করেন না। ঘরের সামনে শিশুদের খেলাধুলা বা পানি ফেলা নিয়ে আগেও শিবকুমারের সঙ্গে প্রতিবেশীদের ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু তিনটি শিশুকে এমন নৃশংসভাবে কেউ ছুড়ে ফেলতে পারে তা কল্পনাও করতে পারছেন না তারা।
এদিকে, ঘটনার পরপরই শিবকুমারকে আটক করে পুলিশ। রোববার রাতে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টাইমস
কেএএ/জেআইএম