লকডাউনে অনাহারে মারা গেল ৮০টি গরু
মহামারি করোনার বিস্তার রোধে ভারতে জারি লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে বিপাকে পড়েছে গৃহপালিত পশুগুলোও। দেশটিতে চলমান লকডাউনে খাদ্যের অভাবে মারা গেছে ৮০টি গরু। সেসব গরুর মৃতদেহ ছিঁড়ে খাচ্ছে কুকুরের পাল। নিউজ এইট্টিন এর প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে। যদিও ওই রাজ্যে আইন করে গো-রক্ষার কথা ঘোষণা করেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কট্টর হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার। কিন্তু ওই রাজ্যেই অনাহারে গবাদি পশুগুলোর এমন মৃত্যুতে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।
হরিয়ানার সামালখা চুলাকানা অঞ্চলের শ্রী কৃষ্ণ গোশালায় ৮০টি গরু ক্ষুধায় মারা গেছে নিশ্চিত করে ওই গোশালার মালিক জানান, তাদের অনেক গরু রয়েছে। কিন্তু লকডাউনে সব গরুর যত্ন তারা নিতে পারেননি। এই অবস্থায় সরকারের সাহায্যও চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি তাতে।
অভিযোগ, মৃত গরুগুলোর সৎকারের জন্যও কোনো জায়গা পাচ্ছেন না তারা। তাই গোশালার ভেতরই পচছে গরুগুলোর মৃতদেহ। প্রসঙ্গত, গরুকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পবিত্র জ্ঞান করে থাকে। এটা তাদের ধর্মীয় ঐতিহ্য। কিন্তু এই মর্মান্তিক ঘটনায় তাদের ‘গরুপ্রেম’ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ভারতে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির শাসনকালে গো-রক্ষা বড় ইস্যু হিসেবে কাজ করেছে। বিশেষ করে কট্টর হিন্দুত্ববাদী এই সরকারের গত কয়েক বছরে ভোটের রাজনীতিতে গরু ছিল প্রাসঙ্গিক বিষয়। কিন্তু লকডাউনে গরুর মৃত্যুতে প্রশাসন থেকে পশুপ্রেমী; কেউই কিছু বলছে না।
মালিক জানিয়েছেন, গোশালাটি প্রায় সাড়ে তিন একর জমির ওপর তৈরি। সেখানে ১ হাজারের বেশি গরুর থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ১ হাজার ৮৫০টি গরু সেখানে থাকায় সেগুলোর যত্ন নেওয়া যায়নি। এছাড়া আরো অনেক গরুর অবস্থা মরণাপন্ন। শরীর এত দুর্বল যে, খাবার দিলেও খেতে পারছে না।
এসএ