২৫ বছর পর ফজলুর সঙ্গে কথা হলো পরিবারের
কোনো মামলা কিংবা সাজাপ্রাপ্ত আসামি না হয়েও ২২ বছর সিলেট কারাগারে বন্দিজীবন কাটিয়ে সদ্য জামিন প্রাপ্ত ফজলু মিয়ার সঙ্গে প্রায় ২৫ বছর পর পরিবারের সদস্যদের মুঠোফোনে কথা হয়েছে। পরিচয় নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার জামালপুরের জেলা প্রশাসক নিজ বাসায় ফজলুর পরিবারের সদস্যদের ডাকেন। এরপর তিনি সিলেটে অবস্থানরত ফজলু মিয়ার সঙ্গে তাদের ফোনালাপ করান।
ফজলু মিয়ার পরিবার জানায়, বুধবার বিকেলে জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পরিচয় নিশ্চিত করতে বৃহস্পতিবার সকালে তার বাসায় দেখা করার কথা বলেন।
এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে ফজলু মিয়ার মামা আব্দুল হালিম, আব্দুস ছাত্তার, মফিজ উদ্দিন, নানা মৌলভী হাসমত উল্লাহ এবং ভগ্নিপতি মন্টু মিয়া জেলা প্রশাসকের বাসায় যান। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন ফজলুর পরিবারের সদস্যদের পরিচয় নিশ্চিত করতে তার সঙ্গে মুঠোফোনে সিলেটে সুরমা থানার তেতুলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কথা বলান।
মুঠোফোনে পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নাম উল্লেখ করে চিনতে পারছে কিনা জানতে চাইলে ফজলু অস্পষ্ট ভাষায় চিনতে পারছে বলে স্বীকার করেন। প্রায় ২৫ বছর পর ফজলুর সঙ্গে কথা বলতে পেরে পরিবারের সদস্যরা স্বস্তিবোধ করেন।
এ সময় ফজলু ছাড়াও তেতুলী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার কামাল উদ্দিন রাসেল, জামিন আবেদনকারী দুই আইনজীবী জোস্না ইসলাম ও ইরফানের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন জামালপুর জেলা প্রশাসকসহ ফজলুর পরিবারের সদস্যরা।
ফজলুর পরিবার জেলা প্রশাসককে জানিয়েছে, বিকেলেই ফজলুর আব্দুস ছাত্তার ও মফিজ উদ্দিন সিলেটে ফজলুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে। তারা সেখান গিয়ে ফজলুকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে নিশ্চিত হলে, আগামী শনিবার ফজলুর মা মজিরন বেওয়াসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সিলেটে যাবেন।
ফজলুর মামা আব্দুল হালিম জানান, আমরাতো ধরেই নিয়েছিলাম ফজলু মারা গেছে, আজ ২৫/২৬ বছর পরে ওর সঙ্গে কথা বলে ভালো লাগছে।
এ ব্যাপারে জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান জানান, ফজলুর পরিচয় নিশ্চিত করতে তার পরিবারের সদস্যদের ডেকে আনা হয়েছিলো এবং মুঠোফোনে সিলেটে অবস্থানরত ফজলুর সঙ্গে কথাও হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফজলুর পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে এবং ফজলুকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
শুভ্র মেহেদী/এআরএ/আরআইপি