বাংলাদেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ কলকাতার দর্শনার্থীরা


প্রকাশিত: ০৯:০৭ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৫

‘আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছ থেকে যে আতিথেয়তা পেয়েছি তা অসাধারণ। কল্পনাও করতে পারিনি বাংলাদেশের মানুষ এতোটা অতিথিপরায়ণ হতে পারে। কোলকাতার চেয়ে ঢের (অনেক)বেশি এগিয়ে গো আপনারা।’ এভাবেই নিজেদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিনে ঢাকেশ্বরীতে ওপার বাংলা কলকাতা থেকে ঘুরতে আসা ১৫ সদস্যের দর্শনার্থী দল।

ভয়েজার্স ক্লাব নামে একটি ট্যুর কোম্পানির আয়োজনে তারা বেশ কয়েকদিন আগে ঢাকায় আসেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় একটি হাইস (বড় মাইক্রো) গাড়িতে ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে নামেন তারা।তাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানান ডিএমপি’র লালবাগ বিভাগের ডিসি মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ ও সর্বজনীন পূজা উদযাপন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি জয়েন্ত সেন দিপুসহ পূজা কমিটির সদস্যরা।

ঢাকেশ্বরী মন্দির ঘুরে ফেরার পথে কথা হয় তাদের সঙ্গে। এসময় সুকলা পোদ্দার নামে এক দর্শনার্থী জাগো নিউজকে বলেন, ‘জীবনে আমি অনেক স্থান ঘুরেছি। বয়স আমার এখন ৬২। আমার জীবনে এতটা সমাদর কোথাও থেকে পাইনি আমি। ভীষণ খুশি আমি । মানুষ এতো ভাল হয় কি করে।’

তার কথায় সুর মেলান ব্রততী মৃধা। তিনি বলছেন, ‘অনেক ভালো গো তোমরা। আমাদের কলকাতার মানুষেদের চেয়ে ঢের ভালো তোমরা। কোথায় কোনো সমস্যা হয়নি। মাত্র রামকৃঞ্চ মিশন মন্দির থেকে এখানে আসছি। যতো জায়গায় গিয়েছি আমি না খুব মুগ্ধ গো, খুবই পুলকিত, মনে হচ্ছে বাংলাদেশেই থেকে যাই।’

কথা বলার সময় ফটাফট ছবি তুলে যাচ্ছেন, আশিষ ব্যানার্জী। তিনি বলছেন, এতো স্মৃতি মনে রাখতে ছবি তো তুলতেই হয়, তুমি সাংবাদিক নাকি গো? আমরা পুরো এলাকাটা ঘুরে দেখবো। ভাবছি এখানেই খাবো। তোমার একটা কার্ড দাও। কলকাতায় ফিরে তোমাদের পোর্টাল টা দেখবো।

নিজের নাম নীহারঞ্জন পরিচয় দিয়ে মধ্য বয়সি অপর কলকাতার দর্শনার্থী বলছেন, অসত্য থেকে সত্যকে উদঘাটনের জন্য, অশুভ শক্তিকে ঠেকাতে মা প্রতি বছর আসেন। আবার চলে যান। যা কিছু অশুভ শক্তি তা যেন দূরীভূত করে কল্যাণ দান করেন, বাংলাদেশি ভাই বোনদের মঙ্গল করেন, এপার ওপার দুপারের আমরা সবাই যেন বাঙ্গালিয়ানায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি সে প্রার্থনাই করে এলাম।

এসময় ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদের সঙ্গে সকল দর্শনার্থী গ্রুপ ছবি তোলেন।

জেইউ/জেডএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।