দিল্লির বাসিন্দাদের জন্য হাসপাতাল শয্যা সংরক্ষিত থাকবে: কেজরিওয়াল
'করোনার চিকিৎসায় নয়াদিল্লির বাসিন্দাদের জন্য সরকারি, বেসরকারি কিছু হাসপাতালের শয্যা সংরক্ষণ করে রাখা হবে।' ভারতের রাজধানী শহরটির বাসিন্দাদের করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল শয্যার সঙ্কট নিয়ে তীব্র বিতর্কের মাঝে রোববার সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।
তিনি বলেছেন, একই সময়ে দিল্লির যেসব সীমান্ত প্রথমের দিকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, সেগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। অন্য রাজ্যের বাসিন্দা রোগী দিয়ে দিল্লির হাসপাতাল ভরে যাবে এমন আশঙ্কা ও করোনার বিস্তার ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল।
আম আদমি পার্টির এই নেতা বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি- এখন থেকে দিল্লি সরকারের অধীনে এখানকার বাসিন্দাদের জন্য হাসপাতালের ১০ হাজার শয্যা সংরক্ষণ করে রাখা হবে। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা হাসপাতালের শয্যা সবার জন্য ব্যবহার করা যাবে। বেসরকারি হাসপাতালের বিশেষায়িত চিকিৎসা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আগামীকাল থেকে দিল্লির সীমান্ত খুলে দেয়া হবে বলে জানান দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী। গত সপ্তাহের তুলনায় সম্প্রতি দিল্লিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি গত কয়েকদিনে গড়ে এক হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন দিল্লিতে। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা রোগীর সংখ্যা ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে।
হাসপাতাল শয্যা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত করোনা মোকাবিলায় দিল্লির সরকারের পাঁচ সদস্যের বিশেষ কমিটির পরামর্শে নেয়া হয়েছে বলে জানান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চলতি মাসের শেষের দিকে দিল্লির বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য ১৫ হাজার শয্যার দরকার হবে বলে ওই কমিটি জানিয়েছে।
দিল্লির সরকারের বিশেষজ্ঞ করোনা কমিটির ধারণা, বর্তমানে হাসপাতালের যে ৯ হাজার শয্যা রয়েছে, অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের ভর্তির অনুমতি দেয়া হলে তা আগামী তিনদিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে।
ভারতে প্রত্যেকদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনায় সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে প্রত্যেকদিনই আগেরদিনের রেকর্ড ভাঙছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬৭৮ এবং মারা গেছেন ৬ হাজার ৯৫২ জন। তবে দেশটিতে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৩ জন।
সূত্র: এনডিটিভি।
এসআইএস/এমকেএইচ