আজ মহানবমী


প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০১৫

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আজ (বৃহস্পতিবার) মহানবমী ও বিজয়া দশমী। তবে দশমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলেও দশমী পূজা হবে শুক্রবার পর্যন্ত। দশভুজা দুর্গার আরাধনার পাশাপাশি দেবীকে বিদায় জানানোর আয়োজনে ভক্তকুল থাকবেন বিষণ্ন। আজ মণ্ডপে মণ্ডপে প্রধান আকর্ষণ থাকবে আরতি প্রতিযোগিতা। রাতকে উজ্জ্বল করে ভক্তরা মেতে উঠবেন নানা ঢঙে আরতি নিবেদনে। একই সঙ্গে দিনভর চলবে চণ্ডীপাঠ। থাকবে ভক্তদের কীর্তনবন্দনা।

আজ এক দিনে মহানবমী ও বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৭টা ৩৩ মিনিট ৭ সেকেন্ডের মধ্যে মহানবমী কল্পারম্ভ ও মহানবমীর বিহিত পূজা, সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ২১ সেকেন্ডের মধ্যে দশমীর বিহিত পূজা ও দর্পণ নিরঞ্জন। দুপুর ১২টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিকেল ৪টায় অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও সন্ধ্যায় ভোগ আরতি।

শুকবার (২৩ অক্টোবর) প্রতিমা বিসর্জন। এ দিন বিকেলে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির থেকে বিজয়ার শোভাযাত্রা বের করা হবে। এই শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শেষ হবে বাঙালির পরম কাঙ্ক্ষিত শারোদোৎসব।

এদিকে বুধবার ভক্তি আর শ্রদ্ধায় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে আরতি, অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো কুমারী পূজা। এদিন অষ্টমীর বিশেষ আকর্ষণ ছিল কুমারী পূজা। দেবী দুর্গার প্রতীক হিসেবে কুমারী কন্যাকে মাতৃরূপে অঞ্জলি দেয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, যার নাম কুমারী পূজা। সাধারণত ১৬ বছরের কম বয়সী কন্যা শিশুদের মধ্য থেকে ‘দেবীত্বের লণ বিচার করে’ কুমারী নির্বাচন করেন পুরোহিতরা। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি।

বুধবার রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে বেলা ১১টায় কুমারী পূজা শুরু হয়। এর আগে কুমারী কন্যাকে স্নান করিয়ে নতুন পোশাক, ফুলের মালা ও অলঙ্কারে সাজানো হয়। কুমারী পূজার ১৬টি উপকরণ দিয়ে শুরু হয় পূজার আচার। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বায়ু এই পাঁচ উপকরণে দেয়া হয় ‘কুমারী মায়ের’ পূজা। অর্ঘ্য নিবেদনের পর দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। পূজা শেষে প্রধান পূজারি আরতি দেন এবং তাকে প্রণাম করেন।

বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।