টাক মাথার লোকজনের করোনার ঝুঁকি বেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ০৫ জুন ২০২০

টাক পড়া বড় ধরনের একটি সমস্যা। এ নিয়ে অনেকেই হতাশাগ্রস্ত থাকেন। এবার টাক মাথার লোকজনের জন্য আরও দুঃসবাদ দিলো সাম্প্রতিক এক গবেষণা।

টাক মাথার লোকজন সম্ভব করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ের এক গবেষণা তাই বলছে।
গবেষকরা বলছেন, টাক মাথার সঙ্গে করোনাভাইরাসের সম্পর্ক বেশ তীব্র।

মার্কিন চিকিৎসক ডা. ফ্রাংক গ্যাব্রিনের মৃত্যুর পর এ বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ওই চিকিৎসকও টাক মাথার ছিলেন। টাক মাথায় করোনার ঝুঁকির বিষয়টিকে গ্যাব্রিন সাইন হিসেবে উল্লেখ করে থাকেন গবেষকরা।

এই গবেষণার প্রধান ব্রাউন ইউনিভার্সিটির প্রফেসর কার্লোস ওয়ামবিয়ের টেলিগ্রাফকে বলেন,
আমরা সত্যিই মনে করি যে, মাথায় টাক পড়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য ঝুঁকির তীব্রতা সম্পর্কে উপযুক্ত ভবিষ্যবাণী দিচ্ছে। অর্থাৎ স্বাস্থ্যের বিষয়ে আমাদেরকে আগে থেকেই সচেতন করছে।

চীনের উহানে জানুয়ারির দিকে এক গবেষণায় দেখা গেছে, সেখানে নারীদের তুলনায় পুরুষের মৃত্যুহার বেশি। এ নিয়ে বেশ গবেষণা হয়েছে যে, কেন নারীদের তুলনায় পুরুষরা বেশি মারা যাচ্ছেন।

গবেষকরা বলছেন, পুরুষের শরীরের বেশ কিছু হরমোন যেমন টেস্টোস্টেরোনের মতো হরমোন কেবলমাত্র চুল পড়ার জন্যই দায়ী নয় বরং এটি কোষে করোনার আক্রমণের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সে কারণেই যাদের টাক পড়ছে তাদের শরীরে খুব সহজেই বাসা বাঁধতে সক্ষম প্রাণঘাতী করোনা।

ফলে এই হরমোনের মাত্রা কমিয়ে আনতে যদি প্রথম থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করা হয় তবে ভাইরাসের প্রবণতাও কমিয়ে আনা সম্ভব।

সম্প্রতি স্পেনের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোভিড-১৯য়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে অধিকাংশের মাথায় টাক ছিল।

মাদ্রিদের তিনটি হাসপাতালের ৭৯ শতাংশ কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিই টাক মাথার। তবে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী বলছেন, এ বিষয়ে আরও গবেষণা করা প্রয়োজন।

এদিকে, সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের করোনায় মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি। উচ্চ রক্তচাপ গুরুতর লক্ষণগুলোর ঝুঁকি আরও খারাপ দিকে নিয়ে যায়। ইউরোপীয়ান হার্ট জার্নালের সাম্প্রতিক এক গবেষণা দেখিয়েছে এই ঝুঁকি কতটা ভয়াবহ।

উহানের ২ হাজার ৮৬৬ জন রোগীর ওপর সম্প্রতি একটি গবেষণা চালানো হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল টিম অব রিসার্চারের এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন চীনের জিজিয়াং হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের ফেই লি এবং লিং তাও।

ওই রোগীদের মধ্যে ৩০ ভাগ করোনায় আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিলেন। এক বিবৃতিতে লিং তাও বলেন, উহানে গত ফেব্রুয়ারিতে যখন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া শুরু করলাম আমরা লক্ষ্য করলাম যে, যারা মারা যাচ্ছে তাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই ছিল উচ্চ রক্তচাপের রোগী।

টিটিএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।