হত্যার পর বেঁচে আছে প্রমাণে প্রেমিকার ফেসবুক সক্রিয় রাখেন প্রেমিক
প্রায় এক বছর আগে প্রেমিকা একতাকে খুন করেন শাকিব। বাবা-মা যাতে বুঝতে না পারেন তাদের মেয়ে বেঁচে নেই, তাই তার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ সক্রিয় রাখেন তিনি। এছাড়া শাকিব নিয়মিত ছবিও পোস্ট করতেন একতার ফেসবুকে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মিরাট শহরের ঘটনা এটি। সম্প্রতি শাকিব নামের ওই যুবক পুলিশের হাতে গ্রেফতারের পর এ ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়।
মিরাট পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধনী পরিবারের মেয়ে একতা। টাকা-পয়সা আত্মসাতের জন্য তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাকিব। কিন্তু নিজেকে আমন নামে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। এর পর বাড়ি থেকে কয়েক লাখ নগদ টাকা ও ২৫ লাখ টাকার গয়না নিয়ে শাকিবের সঙ্গে পালিয়ে যান একতা। মিরাট চলে এসে সেখানে থাকতে শুরু করেন দুজন। কিন্তু একতা ভাবতেও পারেননি যাকে ভালোবেসে ঘরে ছেড়েছেন সেই সর্বস্ব লুট করে খুন করবে তাকে। হত্যার আগে একতার স্বর্ণের চেন, ওয়ালেট আর ফোন হাতিয়ে নেয় শাকিব ও তার পরিবারের লোকজন।
একতাকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সম্প্রতি শাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকালে পুলিশের বন্দুক ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। এ সময় তার পায়ে গুলি চালায় পুলিশ। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শাকিব।
মিরাট পুলিশ জানায়, একতাকে হত্যার পর প্রায় এক বছর তার ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ সক্রিয় রেখেছিলেন শাকিব। একতার মোবাইল থেকেই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করতেন তিনি, যাতে কেউ বুঝতে না পারেন যে একতা খুন হয়েছেন।
এদিকে মিরাট শহরের একটি ক্ষেত থেকে গত মাসে একটি কাটা হাত উদ্ধার হয়। যে হাতে ট্যাটু আঁকা ছিল। পরিবারের লোকজন সেই ট্যাটু দেখে মঙ্গলবার (২ জুন) শনাক্ত করে যে এটা একতার হাত।
এদিকে গতকাল লুধিয়ানার পুলিশ শাকিবসহ গ্রেফতার অন্যদের সাংবাদিকদের সামনে আনলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে একতার পরিবার। তাদের ওপর হামলা চালায় তারা।
পুলিশ জানায়, শুধু ট্যাটু আঁকানো হাত উদ্ধার হলেও দ্বিধায় ছিল পুলিশ। এদিকে থানায় একতার নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করা হয়। একতার ফোনের নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করেই অভিযুক্তদের শনাক্ত করা গেছে।
এমএসএইচ/এমএস