রাজন হত্যা : ১১ সাক্ষীর পুনরায় জেরা শুরু
সিলেটে শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় মহানগর হাকিম আদালতের দুই বিচারকসহ ১১ সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। বুধবার রেলা সাড়ে ১১ টায় মহানগর দায়রা জজ মো. আকবর হোসেন মৃধার আদালতে তাদের পুনরায় জেরা শুরু করেছেন মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আইনজীবী আলী হায়দার ফারুক।
পুনরায় জেরা করা হচ্ছে আলোচিত এই মামলার সাক্ষী সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক মো. সাহেদুল করিম, দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক, রাজন হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি (তদন্ত) আলমগীর হোসেন, মামলার বাদী একই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম, রাজনের বাবা আজিজুল রহমান ওরফে আলম, মা লুবনা বেগম, চাচা আল-আমিন, স্থানীয় বাসিন্দা ইশতিয়াক আহমদ, বেলাল আহমদ, কোরবান আলী ও আফতাব আহমদ।
রাজনের বাবার নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট মসরুর আহমদ চৌধুরী শওকত জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বুধবার দিনব্যাপি আদালতে এই সাক্ষীদের টানা জেরা করা হবে।
এর আগে সৌদিতে পলাতক কামরুলকে ফিরিয়ে আনার পর তার আইনজীবী আলী হায়দার ফারুক মঙ্গলবার ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪০ ধারা অনুযায়ী ১৫ জন সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করলে কামরুলের আইনজীবী ৪ জন কমিয়ে ১১ জন সাক্ষীকে পুনরায় জেরা করার আবেদন জানান। পরে এ বিষয়ে শুনানি শেষে মহানগর জজ আকবর হোসেন মৃধা কামরুলের আইনজীবীর এ আবেদন মঞ্জুর করেন। বুধবার থেকে ওই ১১ সাক্ষীর পুনরায় জেরা শুরু হলো।
সাক্ষীদের জেরা উপলক্ষে বুধবার মামলার প্রধান আসামি কামরুলসহ অন্যান্য আসামিদের বেলা সাড়ে ১১ টায় আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়।
এরা হলেন, মামলার প্রধান আসামি শহরতলির কুমারগাঁও এলাকার শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী কামরুল ইসলাম, তার ভাই মুহিত আলম ওরফে মুহিত ও আলী হায়দার ওরফে আলী, তাদের চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না, টুকেরবাজার ইউনিয়নের পূর্ব জাঙ্গাইল গ্রামের বাসিন্দা ও ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণকারী নূর আহমদ ওরফে নুর মিয়া, দুলাল আহমদ, আয়াজ আলী, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল, ফিরোজ মিয়া, আছমত আলী ওরফে আছমত উল্লাহ ও রুহুল আমিন ওরফে রুহেল।
গত ২২ সেপ্টেম্বর পলাতক আসামি সৌদি প্রবাসী কামরুলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে চার্জগঠন করা হয়। আসামিদের মধ্যে কামরুলের ভাই শামীম ও পাভেল পলাতক রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে শিশু সামিউল আলম রাজনকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার ২৮ মিনিটের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে দেশ-বিদেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর