১ জুন ধর্মীয় স্থাপনা, ৮ জুন অফিস খুলছে পশ্চিমবঙ্গে
করোনার বিস্তার ঠেকাতে ভারতজুড়ে জারি চলমান চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হচ্ছে ৩১ মে। পরদিন সোমবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে মন্দির, মসজিদ, গির্জা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনাগুলো খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অফিস খুলবে ৮ জুন।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সদর দফতর ‘নবান্নে’ সংবাদ সম্মেলনে এমন কথা জানান তিনি। আগামী ৮ জুন থেকে সব অফিস পুরোদমে খুলে দেয়া ছাড়াও রাজ্যের সমস্ত চা এবং জুট শিল্প খোলারও ঘোষণা দিয়েছেন মমতা। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায়ের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
গোটা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। গত একদিনে দেশটিতে নতুন করে আরও ৭ হাজারের বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হওয়া ছাড়াও মৃত্যুতে চীনকে টপকে গেছে ভারত। মমতা বলছেন, ১ জুন থেকে রাজ্য অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে হাঁটবে।
শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় করোনাভাইরাসের কারণে মানুষের জীবন বদলে যাচ্ছে বলে মন্ত্যব্য করে তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘এই রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে কঠোর নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক জায়গাতে মানুষ নিয়ম মানছেন না, তাই করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে।’
করোনার বিস্তার রোধে ৬ থেকে ৮ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যক এবং রাজ্যের সব মানুষকেই এটা মেনে চলতে হবে বলে কড়া ভাষায় জানান মমতা। এছাড়া মাস্ক ও হাত ধোয়াও আবশ্যক বলে মন্তব্য করে তিনি সবাইকে সব রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেন।
তবে ১ জুন সকাল ১০টা থেকে রাজ্যের সব মন্দির-মসজিদ-গির্জা খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও কোথাও একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ ঢুকতে পারবে না বলেও স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
মমতা আরও বলেন, ‘মন্দির-মসজিদ খুললেও জমায়েত করা যাবে না। ভেতরে একবারে ১০ জনের বেশি মানুষ ঢোকা যাবে না। এটা না মানলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রবেশ পথে ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর কর্তৃপক্ষকেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে।’
প্রসঙ্গত, ভারতে এখন আক্রান্ত ১ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি। মারা গেছে ৪ হাজার ৭০৬ জন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ এর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৩৬। আক্রান্তদে ২৯৫ জন মারা গেছে এবং সুস্থ হয়েছে ১ হাজার ৬৬৮ জন।
এসএ