ঝিনাইদহে দুর্বৃত্তের আগুনে মা ও শিশু নিহত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফারাসপুর গ্রামে ঘরে পেট্রলের আগুনে দগ্ধ হয়ে মা তাসলিমা (৪৫) ও শিশু কন্যা তাসলি (১৮মাস) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন স্বামী চাঁন মিয়া ও অপর মেয়ে উর্মি (২০)। ঢাকা মেডিকেলে নেয়ার পথে ফেরিতে সকাল আটটার দিকে তারা মারা যান।
সোমবার রাত তিনটার দিকে শয়ন কক্ষের জানালা দিয়ে কে বা কারা পেট্রল ছুড়ে অগ্নি সংযোগ করায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ সন্দেহভাজন জামাই (উর্মির স্বামী) কামালকে খুঁজছেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার বালী শেখ জাগো নিউজকে জানান, জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার চফারাসপুর গ্রামের চাঁন মিয়া তার পরিবার পরিজন নিয়ে গত রাতে নিজ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত আনুমানিক তিনটার দিকে কে বা কারা জানালা দিয়ে প্রেট্রল জাতীয় দাহ্য পদার্থ ছুড়ে মেরে আগুন লাগিয়ে দেন। এতে ওই ঘরে থাকা গৃহকর্তা চাঁন মিয়া তার স্ত্রী তাসলিমা, বড় মেয়ে উর্মি ও শিশু কন্যা তাসলি অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। তাদের মধ্যে চাঁন মিয়া, তাসলিমা ও শিশু কন্যা তাসলির অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাদেরকে ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। তাদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ফেরি পার হওয়ার সময় সকাল আটটার দিকে তাসলিমা ও শিশু কন্যা তাসলি মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি আরও বলেন চাঁন মিয়ার বড় মেয়ে উর্মির গত তিন বছর আগে যশোরের লেবুতলার মৃত বাবুল হোসেনের ছেলে কামালের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। গত এক বছর থেকে উর্মি বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের জের ধরে গত রাতে কামাল এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় নিহতদের পরিবার ও আশপাশের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এমজেড/পিআর