হাসপাতালে বসে বিরিয়ানি অর্ডার দিলেন ৪ করোনা রোগী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ২২ মে ২০২০

হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন ভারতের তামলিনাড়ুর চার করোনা আক্রান্ত রোগী। এর মধ্যে প্রতিদিন মশলা ছাড়া রান্না করা যে খাবার দেয়া হচ্ছিল তা খেয়ে তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ শুরু হয়। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, কোনো কিছুই আর মুখে উঠছিল না তাদের।

খাবারের স্বাদ বদল করে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে বিরিয়ানি অর্ডার করেন তামিলনাড়ুর সালিম সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ওই চার করোনা রোগী।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা অর্ডারও করে বসেন। ডেলিভারি বয় বিরিয়ানি নিয়ে হাসপাতালে সামনে হাজির। তবে তিনি ভাবতেও পারেননি, খাবার অর্ডার দিয়েছেন করোনা আক্রান্ত চারজন। খাবারের প্যাকেট ওই চারজনের কাছে পৌঁছাতে গিয়ে জানতে পারেন বিষয়টা। গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চারজন সবজি আর মশলাহীন খাবার খেতে খেতে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই খাবারে পরিবর্তন আনতে বিরিয়ানি অর্ডার করেছিলেন। শুধু বিরিয়ানি নয়, তন্দুরি-চিকেনও ছিল সেই অর্ডারে।

হাসপাতাল থেকে অর্ডার গেলেও কাস্টমারের অর্ডার নিয়ে নেয় ফুড ডেলিভারি অ্যাপটি। সে অনুযায়ী ডেলিভারি বয় খাবারের প্যাকেট নিয়ে ঠিকানা দেখে হাসপাতালের গেটের সামনে হাজির হন। সেখানে গিয়ে যখন জানতে পারেন, প্যাকেট নিয়ে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে যেতে হবে। আর তখনই টনক নড়ে তার।

ওয়ার্ডের নিরাপত্তা প্রহরী তাকে প্রশ্ন করলে পুরো বিষয়টা খুলে বলেন ওই ডেলিভারি বয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি সোজা চলে যান হাসপাতালের ডিন ড. আর বালাজিনাথনের কাছে। ঘটনা জানাজানি হতেই খোঁজ পড়ে কারা এই খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন।

কিন্তু এতকিছু করে খাবারটা হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছালেও ওই চারজনের কপালে তা জোটেনি। তাদেরকে সেই মশলাহীন খাবার খাওয়ারই নির্দেশ দেয়া হয়।

এ বিষয়ে ডিন জানান, করোনা আক্রান্ত হলে মশলাদার খাবার একেবারই খাওয়া উচিত নয়। যতটা পারা যায় প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। তা না হলে পেটের সমস্যা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে রোগীর।

এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।