আম্ফানের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তূপ কলকাতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৭ পিএম, ২০ মে ২০২০

কলকাতায় ওপর দিয়ে ১৩০ কিলোমিটার বেগে বইছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। সময় যত বাড়ছে ততই তা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় আম্ফান তার তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে। মারাত্মক জোরালো হাওয়া ও বৃষ্টিতে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গোটা কলকাতা শহর ৷

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কলকাতা শহরের অনেকে রাস্তায় গাছপালা ভেঙে পড়েছে। মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কিত মানুষ ঘরবন্দি হয়ে রয়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। ঝড়ের গতি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে রাজ্যের আলিপুর আবহাওয়া দফতর ৷

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাত ৮টা দিকে কলকাতার দমদম এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের অন্তত ৩০টি জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া একাধিক বৈদ্যুতিক পোল ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গেছে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।

আম্ফানের কারণে একাধিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গাছ পড়ে যাওয়ায় ৷ ঝড়ের তীব্রতা এতটাই যে উত্তর চব্বিশ পরগনায় ৫ হাজার ২০০টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে গেছে। গোটা রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে অসমর্থিত সূত্রে।

আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। রাজ্যটির হাওড়া জেলায় লক্ষ্মী কুমারী সাউ নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ও মিনাখায় নুরজাহান বেওয়া নামে ৫৬ বছরের এক নারীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আস্ফানের প্রভাবে ইতোমধ্যেই উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা থেকে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ার পাশাপাশি উড়ে গেছে ঘরের চাল। কলকাতার একাধিক জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ ৷

সব মিলিয়ে একেবারে লণ্ডভণ্ড অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের ৷ সন্ধ্যার আগে আগেই কলকাতায় আম্ফানের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঢুকে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে। এই ঝড়ের ধ্বংসলীলা আগামী কয়েক ঘণ্টায় আরও বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন রাজ্যটির আবহাওয়াবিদরা ৷

এসএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।