টেকনাফে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার : পরিবারের দাবি হত্যা


প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার একটি কলোনি থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পৌরসভার ইসলামাবাদ গ্রামের মো. ছামিউল্লাহ কলোনির ছয় নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূর নাম রোকেয়া বেগম (২১)। তিনি ইসলামাবাদ এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। তারা কলোনির ওই কক্ষে ভাড়া থাকতেন। কিন্তু যৌতুকের দাবিতে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার।

নিহতের বাবা মো. হোসেন আহমদ জানান, বিকেলে ওই এলাকার লোকজন আমার মেয়ে রোকেয়া বেগমের বাসার দরজা সকাল থেকে আটকানো দেখে এবং কোনো সাড়াশব্দ না শুনে আমাকে মুঠোফোনে খবর দেয়। পরে আমি এলাকার লোকজনসহ তার বাসায় গিয়ে অনেক ডাকাডাকির পরও রোকেয়া বেগমের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহটি দেখত পাই। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যান।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, জসিম উদ্দিন আমার মেয়ের কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। যৌতুকের জন্য রোকেয়া বেগমকে প্রতিদিন মারধর করতো। সে টাকা না পেয়ে আমার মেয়েকে কৌশলে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে হত্যা করে। ঘটনার পর স্বামী পলাতক রয়েছে।

উল্লেখ্য যে, গত একমাস আগে জসিম উদ্দিন ও রোকেয়া বেগম প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেন। পরে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে কলোনিতে বসবাস করেন। তবে জসিম উদ্দিনের আগের স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। তবে ওই কলোনিতে আর কোনো লোকজন পাওয়া যায়নি।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. কবির হোসেন জানান, রোকেয়া বেগম নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এখনো জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, নিহতের স্বামী জসিম উদ্দিনকে খোজেঁ বের করা হবে।

সায়ীদ আলমগীর/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।