মঞ্চ ফাঁকাই রয়ে গেল


প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

সমাবেশের জন্য সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল প্যান্ডেল। সমাবশে সফল করার জন্য প্রচার-প্রচারণা, আমন্ত্রণসহ যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু সমাবেশটা সফল হয়ে উঠেনি। সারাটা দিন মঞ্চ ফাঁকায় রয়ে গেল। ছামিয়ানার নিচে ঠাই হলো না কোনো নেতাকর্মীর।

বিএনপির দুই পক্ষের একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ ডাকায় স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করায় সমাবেশ হয়ে উঠেনি। নওগাঁর মান্দায় প্রসাদপুর বাজার সংলগ্ন রেবা আখতার স্কুল মাঠের আশেপাশে ১০০ গজের মধ্যে এ আইন জারি করা হয়।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বলবৎ ছিল এ আইন। সকাল থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইফুর রহমান জানান, সনাতন ধর্মাম্বলী শারর্দীয় দূর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে যাতে উৎযাপিত হয় এজন্য সোমবারে উপজেলার বিভিন্ন মন্ডবে মন্ডবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও আনছার বাহীনি যাওয়ার দিন নির্ধারিত ছিল। প্রশাসন এদিন ব্যস্ত থাকবে এ সুযোগে হয়তো দু`পক্ষের মধ্যে সহিংসতা হতে পারে। এছাড়া দু’পক্ষকে ডেকে গত রোববার সমঝোতায় বসা হয়েছিল। তারা তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করায় এবং কোনো প্রকার নাশকতা, অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এ জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই আইন জারি করা হয়। ওই স্থানে যাতে সমাবেশ না করতে পারে এজন্য সোমবার সকাল থেকেই সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মান্দা উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সাংসদ সামসুল আলম প্রামাণিক ওই স্থানে সোমবার সকাল ১০টায় সমাবেশ আহ্বান করেন। সমাবেশ যাতে সফল না হয় এজন্য বিরোধী পক্ষ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপুও একই স্থানে একই সময়ে সমাবেশ আহ্বান করেন। বেশ কিছু দিন ধরে দুটি পক্ষই এই কাউন্সিল উপলক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাও চালিয়ে আসছিল।

সামসুল আলম প্রামাণিকের সভায় প্রধান অতিথি করা হয়েছিল নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক নান্নুকে। অপরদিকে ইকরামুল বারীর সমাবেশে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব মিজানুর রহমানকে।

এই অবস্থায় উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রশাসন দুই পক্ষকে একই স্থানে সমাবেশ না করার জন্য গত রোববার চিঠিও দেয়। নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরেও সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইকরামুল বারী গ্রুপ।

মান্দা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করায় ওই স্থানসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ফোর্স মোতায়ন করা হয়েছে।

আব্বাস আলী/ এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।