প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ সংগ্রহ করবে গণতদন্ত কমিশন
সারাদেশের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজসমূহের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের প্রতিবাদে ও পুনঃপরীক্ষার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি গণতদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশন তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও যাচাই বাছাই করে প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি প্রমাণাকারে তুলে ধরবে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় আলোচনা সভা শেষে গণতদন্ত কমিশন গঠন করে সাংবাদিকদের সামনে পেশ করা হয়। সকাল ১১ টায় সভা শুরু হয়ে চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবীদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহম্মদকে আহ্বায়ক করে গণতদন্ত কমিশনে গঠন করা হয়।
১৭ সদস্যবিশিষ্ট গণতদন্ত কমিশনে আরো আছেন- বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মাকসুদ ও রাখাল সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক মো. তানজীম উদ্দীন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, অ্যাকাউন্টিং বিভাগের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক আহমেদ কামাল, ফিদা হক, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া, ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. শাকিলা আক্তার, গীতিকার মাহমুদুজ্জামান বাবু, শিক্ষাবিদ আবু সাঈদ খান, তেল গ্যাস বিদ্যুৎ রক্ষা কমিটির সদস্য ম. ইনামুল হক, গীতি আরা নাসরীন ও এ এন রাশেদা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আনু মুহম্মদ। সভায় উপস্থিতগণ কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় তারা বলেন, গণতদন্ত কমিশন প্রশ্নফাঁসের তথ্যপ্রমান সংগ্রহ করবে। প্রশ্নফাঁস নিয়ে শিক্ষার্থীদের যে অভিযোগ তা বিশদাকারে শোনা হবে। পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট ঘেঁটে দেখা হবে।
প্রশ্ন প্রণয়ন ও ভর্তিপরীক্ষার ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা ও খতিয়ে দেখা হবে এবং পুরো বিষয়টির ঘটনা পরম্পরা জানা হবে। মেডিকেল ও ডেন্টালের প্রশ্নফাঁস ছাড়াও অন্যান্য প্রশ্নফাঁস নিয়ে ও এ কমিশন কাজ করবে বলে জানানো হয়।
তদন্ত শেষে সবকিছু জেনে আগামী ৩০ অক্টোবর শুক্রবার বিকেল ৪টায় টিএসসিতে গণশুনানি হবে। এরপর সব প্রমাণাদিসহ ২০ নভেম্বর পুরো রিপোর্ট পেশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এমএইচ/এসএইচএস/পিআর